যে ৫ ভাবে সেক্স করলে বাচ্ছা খুব সহজে হবে
শারী’রিক মিলনের কিছু নিয়ম গর্ভবতী হওয়াটা সহজ করে দিতে পারে। তাই গর্ভবতী না হয়ে থাকলে ভয় না পেয়ে স্বামীর সাথে মিলনে সচেতন হতে পারেন। যা ঘরে বসে করতে পারেন তার জন্য আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া কেন? নিজেই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে সহ’বাস করার চেষ্টা করে দেখুন।
তবে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ডি’ম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে। মাসিকের সঠিক হিসাব রাখতে হবে যেন আপনি চাইলে সে সময় মাথায় রেখে শারী’রিক মিলনের নিয়ম কাজে লাগাতে পারেন।
১. সঠিক যৌ’ন মিলন : গর্ভধারণের জন্য কিছু যৌ’ন পদ্ধতি পালন করা যেতে পারে। যৌ’ন মিলনের বহুল প্রচলিত পজিশন নারীর উপরে পুরুষ। একে মিশ’নারি পজিশন বলে। মিশনারি পজিশনে শারী’রিক মিলন এক্ষেত্রে সাহায্য করেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। কারণ এতে নারী কোনো রকম নড়াচড়া ছাড়াই বিছানায় পিঠ লাগিয়ে শুয়ে থাকতে পারেন। যদিও এ সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য নেই বা সেমন কোন গবেষণা হয়নি।
একজন নারীর মাসিক শুরুর দিন থেকে গুণে গুণে সাতদিন পর্যন্ত এই ডি’ম্বাণু পুরোপুরি তৈরি হওয়ার সুযোগ নেই বলা চলে। যাদের মাসিক অনিয়ম তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যাদের প্রতিমাসে ঠিকঠাক মতো সঠিক সময় মাসিক হয় তারা এ বিষয়টা মাথায় রাখতে পারেন। ইমার্জেন্সি পিল খেলে এ হিসাব কাজ করবে না, এটাও মনে রাখতে হবে। স্বাভাবিক মাসিক হয় যাদের তাদের পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্বামীর সাথে মিলিত হলেও এ থেকে গর্ভধারণ করার সুযোগ খুব কম। গর্ভবতী হতে চাইলে এর পরের ১০ দিন স্বামীর সাথে একবার করে মিলিত হলে কোনো সমস্যা না থাকলে গর্ভবতী হবেন নারী। কারণ এ সময়ের ভিতরেই ডি’ম্বানুটি প্রস্তুত হয়।
২. জন্ম বিরতিকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা : যদি আপনার ড্রয়ারে কন’ডম থাকে তা আপনি যে কোন সময় ফেলে দিতে পারেন। যদি আপনি গর্ভ নিরোধক বড়ি সেবন করেন তবে আপনি এটা গ্রহণ বন্ধ করতে পারেন এবং সরাসরি চেষ্টা শুরু করতে পারেন। অথবা আপনি মাসিক শুরুর আগ পর্যন্ত পিল চালিয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে ডাক্তারের শিশু জন্মের তারিখ নির্নয় করতে সহজ হয়।
আপনার মাসিকচক্র ফিরে আসতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আপনি পিল খাওয়া অবস্থায় গর্ভধারণ করলে পিল খাওয়া বন্ধ করে ডাক্তারের শরনাপন্ন হন। পিল খাওয়া অবস্থায় গর্ভধারণ করলে যে শিশুর ক্ষতি হবে তা নয়, তবে সাবধানতা অবল্বন করা ভাল। যদি আপনি গর্ভনিরোধের জন্য ইন্জেকশন ব্যবহার করে থাকেন তবে সন্তান ধারন করার জন্য এক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
৩. ডি’ম্বাণু প্রস্তুত হওয়ার আগেই শারী’রিক মিলন : পুরুষের শু’ক্রাণু জ’রায়ু বা ডিম্বনালীতে দুই থেকে তিনদিন বেঁচে থাকে। কিন্তু নারীর ডি’ম্বাণু মাত্র ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা নিষিক্ত হওয়ার অবস্থায় থাকে। এরপর সেখানে আর কোনো শু’ক্রাণু কাজ করতে পারে না। তাই ডি’ম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য দিনে শারী’রিক মিলন না করে মাসিক শেষ হওয়ার পর একদিন পর পর শারী’রিক মিলন করতে হবে। যেন ডি’ম্বাণু প্রস্তুত হলে শু’ক্রাণু মিলিত হতে পারে। জ’রায়ুতে অপেক্ষমাণ শু’ক্রাণুও সেটা করতে পারে।
৪. শারী’রিক মিলন প্রতিদিন নয় : অনেকের ধারণা বাচ্চা চাইলে প্রতিদিন শারী’রিক মিলন জরুরী। এটা ঠিক নয়। প্রতিদিন শারী’রিক মিলনে অবসাদ বা ক্লান্তি চলে আসতে পারে। নারীর মিলিত হওয়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে এবং পুরুষের বী’র্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এর ফলে ডি’ম্বাণু প্রস্তুত হওয়ার সময় শারী’রিক মিলন না ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তাই এক দিন পর পর শারী’রিক মিলন গর্ভবতী হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। এতে করে শারী’রিক মিলনের আগ্রহও থাকে আবার ডি’ম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশী থাকে।
৫. ডি’ম্বানু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময় : গর্ভবতী হওয়ার জন্য অনেক কিছু তো করা হলো, এবার ভেবে দেখতে হবে স্বামীর সাথে মিলিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে। অনেকে কন’ডম ব্যবহার না করলেও গর্ভবতী হতে পারেন না প্রায়ই। এর কারণ তেমন কিছুই না অনেক ক্ষেত্রে। হিসাব করলে দেখা যাবে স্ত্রীর ডি’ম্বানু নিষিক্ত হওয়ার সময় হয়তো মিলন ঘটেনি যার ফলে গর্ভধারণও হয় নি। একজন নারীর ডি’ম্বাশয় মাসে একবার ডি’ম্বানু তৈরি করে। একে ওভুলেশন বলে। যখন এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় শুধুমাত্র তখনই বী’র্যের সংস্পর্শে এলে ডি’ম্বানুটি নিষিক্ত হতে পারে। তবে শু’ক্রাণু নারীর গর্ভে গিয়ে প্রায় পাঁচদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।। তখন যদি নারীর ডি’ম্বানু প্রস্তুত হয় তখনই শু’ক্রাণু ডি’ম্বানুটির সাথে মিলিত হতে পারে।
রাজশাহী বার্তা/admin