বগুড়ায় যুব মহিলা লীগ নেত্রীর অত্যাচারে বাবার আত্মহত্যা!

সময়: 3:36 pm - February 1, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 210 বার

বগুড়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি বিলাসী রানী সরকারের বাবা বিপুল চন্দ্র দাস (৬০) ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার রাতে শহরের ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকার বাড়ির শয়ন ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেশীরা বলছেন, বিলাসীর মারপিট ও অত্যাচারে অতিষ্ট হয়েই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন।

পরিবারের কয়েকজন সদস্য দাবি করেছেন, তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন। পুলিশ অজ্ঞাত কারণে সুরতহাল না করেই লাশ সৎকারের অনুমতি দিয়েছে। এ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকার মৃত বেনু চন্দ্র দাসের ছেলে বিপুলচন্দ্র দাস চাষী বাজারে মাছের ব্যবসা করতেন। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। তার তিন মেয়ের মধ্যে বিলাসী রানী সরকার বগুড়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি।

পারিবারিক বিষয়ে বিলাসীর সঙ্গে তার বাবা বিপুলচন্দ্র দাসের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত ৩০ জানুয়ারি সকালে বিলাসী তার বাবাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এ ছাড়া পুলিশ ডেকে এনে বাবাকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে নেন।

প্রতিবেশীরা আরও জানান, বিলাসী রানী ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি করেন। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বড় নেত্রী হওয়ায় কথায় কথায় পুলিশ ডেকে পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করেন।

ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়া মন্দির সংস্কার কমিটির সভাপতি রনি রায় জানান, ধার নেয়া ১ লাখ টাকা পরিশোধ না করা নিয়ে বিলাসীর সঙ্গে তার বাবা বিপুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বিলাসী গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে লাঠি দিয়ে বাবাকে মারপিট করে।

রনি রায় দাবি করেন, এ কষ্ট সহ্য করতে না পেরেই বিপুলচন্দ্র রায় আত্মহত্যা করেছেন।

বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কামাল জানান, পরিবারের সদস্যরা তাদের জানিয়েছেন, বিপুলচন্দ্র দাস হৃদরোগে মারা গেছেন। তাই লাশ মর্গে না পাঠিয়ে সৎকারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সদর থানার ওসি এসএস বদিউজ্জামান জানান,বিপুলচন্দ্র দাস আত্মহত্যা করেননি। তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন। তবে কয়েকদিন আগে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছিলেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ও কমিউনিটি পুলিশিং নেত্রী বিলাসী রানী বলে, সে তার বাবাকে নিজে বা পুলিশ দিয়ে মারধর করানি। সরস্বতী পূজার দিন বাবা নেশা করে হৈ চৈ করায় পুলিশ এসে তাকে শুধু শাসন করে গেছে।

সে আরও বলে, চাষী বাজারে থাকা একটি দোকান বিক্রিতে বাধা দেয়ায় বাবার সঙ্গে ঝগড়া হয়। বাবা তার কাছে কোনো টাকা ধার নেননি। সে (বিলাসী) বগুড়ায় ছিলেন না। বাবা স্ট্রোকে মারা গেছেন। দোকান বিক্রির জন্য কেউ কেউ তার বাবাকে ‘সাইকো’ বানিয়েছেন। আর তারাই বাবার আত্মহত্যার ব্যাপারে মিথ্যাচার করছেন।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর