ধানে লোকসানের পর লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে আলুর চাষ

সময়: 4:30 pm - February 1, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 266 বার

কয়েক দফা ধানের চাষ করে লোকসান গোনার পর নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কৃষক এবার লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে আলু বুনেছেন। তারা আশা করছেন এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি অনেক লাভও হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সম্ভাবনা রয়েছে সরিষা, গম ও ভুট্টার বাম্পার ফলনের। এদিকে স্থানীয় কৃষি অফিসও জানিয়েছে একই সম্ভাবনার কথা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবিশস্য মৌসুমে এবারে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এক হাজার চারশ ৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আলু চাষীদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরি সহযোগিতার কারণে আলুক্ষেত অনেকটা রোগ-বালাই মুক্ত। উপজেলার সদর, মিরাট, কাশিমপুর ও একডালা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আলু চাষ করা।

মিরাট গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, এ বছর ৫ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। হিমাগারে কিছু বীজ রেখেছিলাম আর বাকিটা কিনে জমিতে রোপণ করেছি। আলু গাছ ভালো হওয়ায় মনে হচ্ছে এবার আলুর বাম্পার ফলন পাবো। ইতিমধ্যে কিছু জমির আলু তুলে বিক্রি করে দাম ভালো পেয়েছি। বর্তমান বাজার দর অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে কৃষকরা ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে পুরোদমে ইরি-বোরো চাষ করতে পারবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় উন্নত জাতের ক্যাডিন্যাল, ডায়মন্ড ও স্থানীয় জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। আশা করছি কৃষক হেক্টর প্রতি ১৭-১৮ মেট্রিক টন ফলন পাবেন। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু জমি থেকে কৃষক আলু তুলে বিক্রি শুরু করেছেন। মৌসুমের শুরুতেই আলুর দর খুব ভালো ছিলো এবং বর্তমানেও ভালো আছে। আশা করছি কৃষক এবার আলুর ফলনে লাভবান হবেন।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর