দুই বাংলার মানুষ এক হল ধামইরহাটে
একদিনের জন্য দুই বাংলার মানুষ এক হয়ে মিশে গেলেন নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে। রোববার দুই বাংলার হাজারো মানুষের মিলনমেলা হয় এখানে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল পর্যন্ত ১৪ বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অধীনে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ বিওপির বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মেইন পিলার ২৫৬-এর সাব-পিলার ৯-এর কমরইল গ্রামের উত্তর মাঠে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে মিলনমেলা উদ্বোধন করেন আগ্রাদ্বিগুণ বিওপির কোম্পানি কমান্ডার মো. নুরুল আমিন। ওপার বাংলার বিএসএফের ১২২ ব্যাটালিয়নের অন্তর্গত জলঘর ও হরিবংশপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের উপস্থিতিতে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মিলনমেলায় বিএসএফ তাদের কাঁটা তারের দরজা খুলে দেয়। ভারতের হাজার হাজার মানুষ তাদের নাগরিকত্ব আধার কার্ড দেখিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। মিলনমেলায় দুই বাংলার কয়েক জেলার লোকজনের সমাগম ঘটে।
বিশেষ করে নওগাঁ, জয়পুরহাট, বগুড়া ও রাজশাহী জেলার হাজার হাজার মানুষ মাইক্রোবাস, কার, ভটভটি ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে আসে। ভারতের লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারলেও বাংলার কোনো লোক ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি।
ভারতের গঙ্গরামপুরের সাহারা বানু বলেন, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর নান্দাস গ্রামে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে অনেক দিন পর মিলিত হতে পেয়ে আমরা খুব খুশি।
জয়পুরহাটের মঙ্গলবাড়ী গ্রামের অনিতা বর্মণ বলেন, সীমান্ত খুলে দেয়ায় অনেক দিন পর তার কাকা-কাকিদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হল।
দুই বাংলার লোকজন তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন।
মিলনমেলা উপলক্ষে সীমান্তের কাঁটা তারের নিকটে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কেনা-বেচা হয়। সকাল থেকে আগ্রাদ্বিগুণ বাজার থেকে সীমান্তবর্তী ওই মিলনমেলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে যানজট লেগে ছিল।
ধামইরহাট থানার ওসি মো. শামীম হাসান সরদারের নেতৃত্বে পুলিশের সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তৎপর ছিল।
রাজশাহী বার্তা/admin