রাজশাহীতে সব স্বাভাবিক রেখে স্বাস্থ্যবিধিতে নজর
রাজশাহীতে বাড়ছেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। জেলার সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে শহরেই। বিভাগীয় শহরটিতে এ পর্যন্ত ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন তানোর উপজেলায়। সেখানে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১৫ জন। আর তৃতীয় অবস্থানে চারঘাট উপজেলায় আক্রান্ত ১৪ জন। রোববার সকালে এক প্রতিবেদনে জেলা সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক এ তথ্য দিয়েছেন।
তিনি জানান, শনিবার রাত পর্যন্ত রাজশাহী জেলায় ১২৭ জনের শরীরে কনোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছে তিনজন, সুস্থ্য হয়েছেন ৩৩ জন। আর চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে রাজশাহীর শহরের ৪৬ জন, বাঘায় ৯ জন, চারঘাটে ১৪, পুঠিয়ায় ১১, দুর্গাপুরে ৪, বাগমারায় ১০, মোহনপুরে ৯, তানোর উপজেলায় ১৫ জন, পবায় ৮ এবং গোদাগাড়ীতে ১ জন সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। এর মধ্যে নগরের একজন, বাঘায় একজন ও মোহনপুরে একজন। এছাড়াও রাজশাহী মিশন হাসপাতালে আরেকজন মারা গেছে। তিনি রাজশাহী শহরে বাসিন্দা হলেও আক্রান্ত হয়েছেন নওগাঁয়।
ডা. এনামুল বলেন, রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৩৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহী নগরের পাঁচজন, বাঘার তিনজন, চারঘাটে দুইজন, পুঠিয়ার সাতজন, দুর্গাপুরের তিনজন, বাগমারার তিনজন, মোহনপুরের চারজন, তানোর চারজন, পবার দুইজন।
সিভিল সার্জন জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১ হাজার ৯২৯ জন কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে পাঁচজনকে। তারা সবাই ঢাকা থেকে এসেছেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক বলেন, রাজশাহীতে যদি ৩০০ জনের উপরে আক্রান্ত হয় তবেই রেড জোন হবে। সেটি যেন না হয় তার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। জেলায় সব স্বাভাবিক থাকবে। গণপরিবনহ চলবে। খোলা থাকবে দোকান পার্ট, মার্কেট ও হাট-বাজার। তবে মানুষকে মাস্ক পরানোসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সূত্র : পদ্মা টাইমস ২৪
রাজশাহী বার্তা/admin