পাবনার ‘পালোয়ান’ নজর কেড়েছে ৩০ মণ ওজনে

সময়: 10:03 pm - July 6, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 337 বার

হাঁটা চলা সবটাই হাতির মতো। লোকজন দেখলেই গর্জন করে তেড়ে আসে। ভয়ে পাশে কেউ যেতে চায় না। রাতের বেলায় তার গর্জনে প্রতিবেশীদের ঘুমানোই দায়! কালো রঙয়ের পুরো শরীর মাংসে ভরা ষাড় গরু।

সোমবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বছর দুয়েক আগে উপজেলার বোঁথড় এলাকার একটি খামার থেকে ২০ হাজার টাকায় গরুটি কেনেন খামার মালিক আবদুল্লাহ আল মাসুদ। কেনার সময় গর্জন দেখে নাম গরুটির রেখেছিলেন ‘পালোয়ান’। সেই থেকেই পরম মমতায় তাকে লালন পালন করেছেন তিনি। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড় গরুকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছেন খামার মালিক।

প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় ১০ কেজি খাবার খায় পালোয়ান। এর মধ্যে রয়েছে গমের ভুষি, ধানের গুড়া, খেসারী, জব, ভুট্টা, শুকনো খড়, কাঁচা ঘাস। প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৪০০ টাকার খাদ্য লাগে পালোয়ানের জন্য। পালোয়ানের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের এলাকা থেকে অনেকেই গরুটি দেখতে আসছেন। কেউ কেউ পালোয়ানের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছেন।

গরুর মালিক আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানান, বর্তমানে চার বছর বয়সী গরুটির ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ মণ। কোরবানি উপলক্ষে গরুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে কয়েকজন ব্যাপারী বাড়িতে এসে পালোয়ানকে দেখে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। তবে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারলে কিছু লাভ হবে বলে জানান তিনি।

গরু দেখতে আসা আবদুর রাজ্জাক ও খলিল উদ্দিন আবীর জানান জানান, বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে এসেছি। এর আগে এত বড় সাইজের গরু কখনও দেখিনি। ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি। এতে অনেকেই নানারকম মন্তব্য করছেন। দেখে ভালই লাগছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহির উদ্দিন জানান, আমরা খামারীদের উৎসাহিত করি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে গরু মোটাতাজা করতে। কারণ বেশি বড় আকৃতির গরু সবাই কিনতে পারেন না। অনেক সময় বিক্রি না হলে খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে মাসুদ নামের ওই ব্যক্তির খামারে গিয়েছিলাম। গরুটি সুস্থ, সবল আছে এবং প্রাণী সম্পদ অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিনি দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেছেন। আশা করছি তিনি কাঙ্ক্ষিত দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবেন।

সূত্র : যুগান্তর

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর