করোনাকালেও দূরত্ব নয়
করোনার শুরুর দিকে প্রায় সবারই বাইরে যাওয়া বন্ধ ছিল। এসময় সঙ্গীর সঙ্গে আগের চেয়ে বোঝাপড়া অনেকেরই ভালো হয়েছে। এটা যারা ধরে রেখে চাচ্ছেন, এই প্রেম-ভালোবাসা সারাটি জীবনসঙ্গী হয়ে থাকুক। তারা কিছু বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করতে পারেন।
সাস্থ্যকর খাবার
সম্প্রতি ব্রিটেনের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, যারা বেশি পরিমাণে ফল এবং শাবসবজি খায় তারা উচ্চ মাত্রার মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। এসব খাবার আপনার খাবার তালিকায় যুক্ত করলে রুচি বাড়বে, ঘুম ভালো হবে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে।
শরীর চর্চা
এর অর্থ এই নয় যে, প্রচুর শ্রম দিতে হবে। যারা নতুন বিয়ে করেছেন তারা পোশাক পরে বা হালকা খালি শরীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে শরীর চর্চা করতে পারেন এতে করে শরীরের ভাব প্রকাশক হরমোন নিয়ন্ত্রিত হয় এবং হতাশা দূর হয়।
প্রথম দেখা
প্রথম সাক্ষাতের কথা স্বরণ করতে হবে মাছে মাঝে। প্রথম সাক্ষাতের অভিজ্ঞতাটা উপভোগ্য ছিল নিশ্চয়।
সঙ্গীর বন্ধুর সঙ্গেও বন্ধুত্ব
আপনার সঙ্গীর বন্ধুদের সঙ্গেও একটা ভালো সম্পর্ক থাকা দরকার। এতে আপনার প্রিয় সঙ্গী নিঃসন্দেহে খুশি হবে। তবে সামাজিকতাকে খেয়াল করতে হবে নইলে আবার হীতে বিপরীত হবে পারে।
সঙ্গীর পরিবার নিজের করে নিন
আপনার সঙ্গীকে খুশি রাখতে তার পরিবার নিজের করে নিন। সবার সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে একটু না হয় সহ্য করে মানিয়েই নিলেন, দিলেন একটু ছাড়।
স্পর্শ
হাত ধরুন। সকালে যখন কফি খান তখন তাকে স্পর্শ করতে পারেন। টিভি দেখার সময় পাশাপাশি বসা, এসব ছোট ছোট বিষয়গুলোই দেখা যায় সারাদিনের দূরত্ব দূর করে দু’জনকে আরও কাছে আসার পরিবেশ তৈরি করে। আর ঘুমের সময় দূরে না থেকে সঙ্গীকে ছুঁয়ে থাকলে ঘুমও হবে গভীর।
মহামারি করোনার এই সময়ে যদি বাড়ির বাইরে যেতে হয়, তবে ফিরে খুব ভালোভাবে হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে গোসল করে নিন। সন্ধ্যায় এক মগ মশলা চা পান করুন। সঙ্গে একবার লবণ-গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করে নিন। এবার নিশ্চিন্তে সঙ্গীর সঙ্গে থাকুন।
তবে জ্বর হলে বা করোনার কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই আলাদা থাকুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন।