তানোরে রোপা-আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
চলতি আমন মৌসুমের এ সময়ে রোপা-আমন ধান পরিচর্যা করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন তারা। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।
এতে লোকসান কাটিয়ে কোনোরকমে উৎপাদন খরচ জুটছে কৃষকের কপালে। এমনটি বলছিলেন তানোর পৌর এলাকার জিওল-চাঁদপুর গ্রামের কৃষক মেছের ও ইনছার মণ্ডল। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বাড়ির আশপাশে বিস্তীর্ণ রোপা-আমন ফসলের মাঠ, সবুজে সমারোহ। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। তানোর গোল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মাদের ভাষায় এ উপজেলায় সুমন স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা, জিরাশাল ও ব্রিআর-১১ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগ জমিতে সুমন স্বর্ণা ও গুটি স্বর্ণার চাষ করা হয়।
তবে যেসব জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করা হবে, কেবল ওই জমিতে জিরাশাল ধান রোপণ হয়েছে। ধান গাছের চেহারায় তিনি মুগ্ধ। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষি অফিসের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ ও আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত রয়েছেন আর সব কৃষকের মতো তিনিও।
উপজেলা কৃষি অফিসের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২২ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু বিলকুমারী বিল তথা শিবনদে ১১০ হেক্টরের মতো রোপিত রোপা-আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তারপরও কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী কৃষি দফতরের সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতির নিয়মে অগ্রহায়ণ মাসে আমন কাটা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এ উপজেলায় রোপা-আমনের জমিতেই কৃষক আগাম আলু চাষ করে থাকেন।
এ কারণে কার্তিক মাসের শুরু থেকে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহর মধ্যে আমন ধানা কাটা মাড়া শেষ হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কৃষক গোলায় উঠাবেন সোনার ফসল এমন প্রত্যাশায় আশাবাদি তিনি।
রাজশাহী বার্তা/admin