পেট কেটে বের করা হলো ১৫৫০ পিস ইয়াবা
কক্সবাজার থেকে রাজশাহীতে অভিনব কায়দায় পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করে আনার সময় ধরা পড়েন আবদুস শুকুর (৩৭)। পরে তার পেট থেকে ইয়াবা বের করার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই এ মাদকবিক্রেতার মৃত্যু হয়। এর আগে ওর পেট থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বের করা হয়। প্রতি প্যাকেটে ৫০টি করে এক হাজার ৫৫০টি ইয়াবা ছিল।
শুকুর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়ার মোক্তার আহমেদের ছেলে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ জানায়, কক্সবাজার থেকে ইয়াবা বহন করে আনার সময় প্রথমে পাবনায় ধরা পড়ে সে। গত রোববার রাতে তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে আটক করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তার পেটের মধ্যে ইয়াবা রয়েছে বলে স্বীকার করে সে। অস্ত্রোপচার করে সেগুলো বের করার জন্য তাকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রোববার দিনগত রাতে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে ওর মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রোপচারের সময় শুকুরের অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, ওই দিন রাতে পাবনা থেকে আনার পর রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুকুরের মৃত্যু হয়। তার পেট থেকে ইয়াবা বের করা হয়েছে। এগুলো এখন আলামত হিসেবে পাবনা থানায় পাঠানো হবে।
রাজশাহী বার্তা/Durul Haque