দিনাজপুরে পানি নিষ্কাশনের জন্য কাউন্সিলর ড্রেনে

সময়: 7:03 pm - September 30, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 434 বার

মোঃ আরমান হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : অবশেষে আবর্জনা ভর্তি ড্রেনের ময়লা ও আবর্জনা পানিতে নেমে ড্রেন পরিস্কার ও পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনে নামলেন দিনাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজান।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে কারনে আবর্জনা ভর্তি ড্রেনের পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। নিম্নাঞ্চল ডুবে যায়। শত শত বাড়ী অর্ধেক পানির নিচে ডুবে যায়। কিন্তু ২ দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ার পরও ড্রেন আবর্জনায় ভর্তি থাকার কারনে পানি সেই তিমিরে থমকে আছে। দুর্গন্ধ ও মশা, মাছির কামরে দেখা যায় বিভিন্ন রোগ বালাই শুরু হয়েছে। পৌরবাসী এ দুর্ভোগ লাঘবে মেয়র জনবল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজান নিজেই এলাকাবাসীদের নিয়ে সেই দুর্গন্ধ আবর্জনা ভর্তি ড্রেন পরিস্কারে নেমে পড়ে। ফলে দিনাজপুর শহরের পুলহাটস্থ খোয়ারের পুল এলাকায় পানি নিস্কাশন হয়ে পুর্নভবা নদীতে পড়ছে।

উল্লেখ, টানা কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার কারনে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ড্রেন গুলোতে পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্দিকতা সৃষ্টি হওয়ায় প্লাবিত এলাকার পরিবারগুলোকে চকি ও উচু জায়গায় রান্না-বান্না করতে হচ্ছে। দিনাজপুর শহরের পুলহাট খোয়ারের পুল এলাকার ছাই-আবর্জনা দিয়ে ভর্তি থাকায় ড্রেনের পানি পুলের ওপারে বের হয়ে যেতে পারছে না। ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজান নিজেই এ অভিযান শুরু করেছেন। দিনাজপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজান জানান, নিজেই স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ড্রেনের ছাই-আবর্জনা অপসারণ করে পানি নিস্কাষণের প্রাথমিক ব্যবস্থা করছি। তবে স্থায়ীভাবে এই ছাই-আবর্জনা অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

খোয়ারের পুল এলাকাবাসী আফজাল হেসেন জানান, এলাকার বড় ক্যানেলের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় জলাবদ্ধতা বেড়ে আমাদের বসত বাড়িগুলো বুক পর্যন্ত পানি উপরে চলে আসে। এতে আমাদের দুর্ভোগে পোহাতে হয়। তবে একজন কাউন্সিলর যে ভাবে এক কোমড় ড্রেনের পানিতে নেমে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করছে তা দেখে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র যদি একটু নজর দিতেন তাহলে আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হত না। এ সময় কাউন্সিলরের সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী সাজিউল ইসলাম সাজু, যুবলীগ নেতা আরমান হোসেনসহ এলাকবাসী।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর