মিম চৌধুরী : আকাশছোঁয়া স্বপ্ন যার
মিম চৌধুরী, এ সময়ের প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় দেখে দেখেই মূলত অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা জাগে তার। তাই এক সময় অভিনয়ের প্লাটফরমে পা রাখেন।
২০১৩ সালে ‘ম্যাঙ্গোলি নাচো বাংলাদেশ নাচো’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ হন। ব্যস, সেই থেকেই স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু। শুরুতেই তিনি মাহফুজ আহমদের পরিচালনায় তার সঙ্গে ‘সরীসৃপ’ নাটকে অভিনয় করার সুযোগ পান। ছোটবেলা থেকে প্রিয় অভিনেতার তালিকার শীর্ষেও ছিল মাহফুজ আহমদের নাম।
স্বভাবতই প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে প্রথম কাজ, একটু বেশিই উচ্ছ্বাস ছিল মনে। এরপর তিনি আরও অনেক নাটকে অভিনয় করার সুযোগ পান। তবে তার মতে উল্লেখ করার মতো কাজ হল হাবিব শাকিলের ‘ক্লাস মেট’, মোশাররফ করিমের বিপরীতে ‘ভদ্রলোক’সহ আরও বেশকিছু নাটক। নাটকে অভিনয় করতে করতে এক সময় সাফি উদ্দিন সাফির পরিচালনায় শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব পান মিম।
অভিনয় করেন শাকিব খানের সঙ্গে ‘ভালোবাসা এক্সপ্রেস’ ছবিতেও। তবে সেখানেই থেমে গেলেন তিনি। এরপর মনের মতো গল্প আর চরিত্র পাওয়া হল না তার, দেখাও গেল না মিমকে সিনেমার রুপালি পর্দায়। তবে প্রবল আগ্রহ আছে।
মিম চৌধুরী উপস্থাপনায়ও বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। ২০১৬ সালে তিনি সেরা নাচিয়ের এবং ২০১৭ সালে ক্ষুদে গানরাজের উপস্থাপনা করে বেশ প্রশংসিত হন। এখনও সময়-সুযোগ পেলে উপস্থাপনায় ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেন নিজেকে। স্টেজ মৌসুম এলে নাচে অংশ নেন। বর্তমানে নাচ নিয়েও বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে মিম চৌধুরী বলেন, ‘আমার লক্ষ্যই হচ্ছে একজন অভিনেত্রী হওয়ার। আমার অভিনয় দেখে দর্শক যেন বলেন মেয়েটি ভালো অভিনয় করেন। দর্শকের ভালোবাসা নিয়েই আগামীর পথে এগিয়ে যেতে চাই, অনেকের মতো একজন সু-অভিনেত্রী হিসেবেই আমি প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আমার বিশ্বাস পরিচালকদের সহযোগিতায়, সহশিল্পীদের আন্তরিকতায় আমি একদিন ঠিকই আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। আমার পরিবার আমাকে সবসময়ই দারুণভাবে সহযোগিতা করে। কর্মক্ষেত্রটি আমার ভীষণ পছন্দের, ভালোলাগার।’
অভিনয়ে কিংবা শোবিজের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স পড়ছেন দ্বিতীয় বর্ষে মিম চৌধুরী। তিনি মনে করেন, অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাটাও ভীষণ জরুরি।
এ প্রসঙ্গে মিম বলেন, ‘মেধা যতই থাকুক, মানুষের জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা জরুরি। যদি সুযোগ থাকে সবারই উচিত সেটাকে প্রায়োরিটি দেয়া। কারণ মেধার পরিস্ফুটন ঘটাতে হলে অথবা নিজের মেধা কাজে লাগাতে হলে অবশ্যই শিক্ষা লাগবে।’ নিজেকে সেভাবেই গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন মিম। একজন সু-অভিনেত্রী হওয়ার আকাশছোঁয়া স্বপ্নে বিভোর এই নবীন।