নাটোরের গুরুদাসপুরে সিগারেটের ছ্যাঁকায় ক্ষতবিক্ষত গৃহবধূর শরীর
নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূর মুখে বালিশ চেপে মারপিটের পর জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করার অভিযোগে স্বামী মিঠুন আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে স্বামী মিঠুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার রাতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
রাতেই ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। নির্যাতিত গৃহবধূ রোজিনা ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। মিঠুন একই গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে।
গৃহবধূ রোজিনা জানান, পারিবারিকভাবে ৬ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের কারণে তাদের বিয়ে হয়। ৬ মাস যেতে না যেতেই তারা যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করে। তার বাবা-মা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক বাবদ মিঠুনকে দেন।
কিছুদিন পার হতে না হতেই ফের নির্যাতন করতে থাকেন স্বামী। তার বাবার বাড়ি থেকে আরও দেড় লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন।
যৌতুকের ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ওপর নির্যাতনের এক পর্যায়ে মিঠুন সোমবার রাতে তার সমস্ত শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং স্পর্শকাতর স্থানে জলন্ত সিগারেটের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
রোজিনার চিৎকারে এলাকাবাসী ও স্বজনরা রোজিনাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নিয়ে তাকে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী বার্তা/admin