রাবি স্কুলের সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি অভিযোগের মামলায় জামিনে থাকা রাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. দুরুল হুদার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে অভিযোগটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িক বরখাস্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়।
জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক জামিনে এবং শ্লীলতাহানির শিকার মেয়েটি স্কুলে যেতে পারছে না এমন একটি খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। গণমাধ্যমে আরও প্রকাশ হয়, দুই মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছে না ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে মেয়েটি। পরে খবরটি যুক্ত করে বুধবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জোবাইদা গুলশান আরা। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান পরে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীটির নির্বিঘ্নে স্কুলে আসা যাওয়া ও ছাত্রীটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এমন একটি রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাজশাহীর পুলিশ সুপার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বিশবিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষ, রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং শিক্ষক মো. দুরুল হুদাকে ।
যা ছিল মামলায়
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাত্রীর বাসায় পড়াতে আসেন দুরুল হুদা। পড়ানো শেষে ছাত্রীকে বাড়ি দেখার নাম করে স্টোর রুমে নিয়ে যান তিনি। এক পর্যায়ে তিনি ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরেন এবং অশালীন আচরণ করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে দুরুল হুদাকে ধাক্কা দিয়ে চলে আসতে চাইলে আবারও তাকে জড়িয়ে ধরেন। ছাত্রীর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে দুরুল হুদা পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। প্রায় দুই মাস কারাগারে থাকার পর গত ১২ ডিসেম্বর জামিনে বেরিয়ে আসেন দুরুল হুদা।
রাজশাহী বার্তা/admin