বগুড়ার শেরপুরে সড়কের সরকারি গাছ কেটে নিলেন ইউপি সদস্য

সময়: 6:41 pm - December 5, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 103 বার

বগুড়ার শেরপুরে ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সড়কের পাশে লাগানো বেশ কয়েকটি মূল্যবান সরকারি গাছ কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়লা-বেলগাছী আঞ্চলিক সড়কের বেলগাছী তিনমাথা কবরস্থান এলাকায় এসব গাছ কাটা শুরু করেন। 

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালেও একই দৃশ্য দেখা যায়। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বেশ কয়েকবছর আগে ওই সড়কটির পাশে সরকারিভাবে শতাধিক ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ লাগানো হয়। গাছগুলো এখন বেশ বড় হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সড়কটির সৌন্দর্য বর্ধনেও ভূমিকা রাখছে এসব গাছ। কিন্তু কোন প্রকার সরকারি সিদ্ধান্ত ও নিলাম ছাড়াই এসব গাছ কাটছেন সুঘাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. রঞ্জু খা।

এলাকার সচেতন লোকজন বাধা দিলে তাদের জানানো হয়, সব মহলকে ম্যানেজ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। তাই অনেকটা নির্বিঘ্নেই গত দুইদিনে প্রায় ১৬টি গাছ কাটা হয়েছে। এমনকি এই গাছ কাটার মহোৎসব চলছেই। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এসব সচেতন এলাকাবাসী।

গাছ কাটা  শ্রমিকরাও জানান, আ.লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য রঞ্জু খার নির্দেশে এবং তার ডাকে শ্রমিক হিসেবে গাছ কাটছেন তারা। কেটে ফেলা এসব গাছের মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সামাজিক বনবিভাগ শেরপুর রেঞ্জের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বলেন, সড়কটির পাশে লাগানো গাছগুলো তার দফতরের নয়। তবে এসব গাছ সরকারি। তাই গাছগুলো এভাবে কাটতে পারেন না তিনি।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন সাংবাদিকদের জানান, গাছ কাটার সংবাদ পেয়েই সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে কেটে ফেলা গাছগুলো হেফাজতে নিতে বলা হয়েছে। যাতে করে অন্যত্র সরাতে না পারে। এছাড়া ইউএনও স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেন তিনি।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ জানান, গাছগুলো সরকারি না ব্যক্তি মালিকানাধীন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি হলে অবশ্যই দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য রঞ্জু খা’র বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গাছগুলো লাগিয়েছিলাম। তাই এখন কেটে নিচ্ছি। এতে দোষের কিছু নেই। সড়কের পাশের জমিও আমার। আমার গাছ আমি কাটছি, এতে কার কী-বলার আছে এমন মন্তব্য করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর