ওজন কমাতে চাইলে যে বিষয়গুলো মেনে চলবেন

সময়: 7:02 pm - January 17, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 114 বার
ছবি : তৌফিক আর কথা

আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যেখানে স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস ঠিক রাখা কেবল প্রয়োজনই না বরং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারও বটে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কথা বলতে গেলে ফিট থাকা এবং নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অন্যতম প্রাথমিক এজেন্ডা। আপনি আপনার ডায়েটে পরিবর্তন আনুন কিংবা নিয়মিতভাবে জিম করুন, এসবকিছু আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত উপকারী।

যখন ওজন কমানোর কথা আসে তখন একটি পরিকল্পনা অনুসরণ করা উচিত যা ফলপ্রসূ হিসেবে কাজ করবে। ওজন কমানোর বেশ কয়েকটি আশ্চর্যজনক টিপস প্রকাশ করছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া-

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া : ওজন কমানোর প্রাথমিক উপায় আপনার খাবার খাওয়ার সাথেই জড়িত। অনেক মানুষের মাঝেই এই ভ্রান্ত ধারণা যে, খাবার তাদের ওজন বাড়িয়ে তোলে, আসলে কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়। আসল সমস্যাটি আপনার খাবারতালিকার অস্বাস্থ্যকর খাবারে।

প্রসেসড খাবারের পরিবর্তে আপনাকে অবশ্যই সবরকম স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। আপনার ইনসুলিন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি পুরো খাবারগুলো আপনাকে শক্তিশালী করে তোলে। যার ফলশ্রুতিতে আপনার ওজন কমানো সহজ হয়।

নিজেকে হাইড্রেট রাখুন : পানি আমাদের শরীরের শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস। হজম শক্তি বাড়াতে, শরীর থেকে বর্জ্য এবং বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করতে পারে। তাছাড়া, খাবারের আগে পানি পান করলে ক্ষুধা নিরসন করতে পারে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখবে। পাশাপাশি শরীরের স্বাস্থ্যকর এবং অস্বাস্থ্যকর কার্বস এবং চর্বি দূরে করতে সহায়তা করবে।

প্রতি বেলায় খাওয়া : আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, দু’-এক বেলা খাবার না খেলে বা নিজেকে অনাহারে রাখলে তা ওজন কমাতে সহায়তা করবে। তবে এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। খাবার বাদ দেয়া এবং পরিমাণে কম খাওয়ার ফলে আপনার মেটাবোলিসম বা বিপাক স্টল করতে পারে এবং অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের দিকে ঝুঁকতে পারেন। খাদ্য গ্রহণ বাদ দেয়ার পরিবর্তে, অবশ্যই খাবারের সাথে ক্ষুধার চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখতে শিখতে হবে। অন্যথায় এভাবে খাবার এড়িয়ে গেলে তা আপনাকে কেবল দুর্বল এবং অলস করে তুলবে।

পরিমিত খাবার খাওয়া : ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাবারের পরিমাণ ভাগ করার জন্য অবশ্যই কৌশলগত এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। আপনার অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি খাবারের সময় খুব বেশি খাচ্ছেন না আবার কমও খাচ্ছেন না। আপনার দেহের শক্তির চাহিদার সাথে তুলনা করেই আপনাকে কার্ব জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্য অবশ্যই নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ঘরের রান্না খাওয়া : আজকের সময়ে, অনেকে বাইরে থেকে ডাইনিং অথবা বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করতে পছন্দ করেন। আপনি যদি সত্যিকারভাবেই ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তবে আপনাকে অবশ্যই বাড়ির রান্না খাবার খেতে হবে। ঘরে রান্না করা খাবার সবসময় স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। যেসব খাবার খাচ্ছেন সে সম্পর্কে সচেতন হোন। যেমন কার্বস এবং ফ্যাটের পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা রাখুন। ফলস্বরূপ আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু পরিমিত ব্যবহার করতে পারবেন।। তাছাড়া এটি আপনার অনেক অর্থ সাশ্রয় করে।

অ্যালকোহল সেবন নিয়ে পুনরায় ভাবুন : যেসব লোকেরা মদ্যপান করে, তাদের অ্যালকোহল সেবন পুরোপুরি হ্রাস করা অনেকটাই কঠিন ব্যাপার, কারণ এই তৃষ্ণা তাদের নেশায় পরিণত হয়। তবে যদি আপনি এমন কেউ হন, যিনি ওজন বাড়ানোর বিষয়েও চিন্তিত তবে অবশ্যই অ্যালকোহল গ্রহণের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

ডায়েটে সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে চলুন : অনেকে বিশ্বাস করে যে নিজের উপর ডায়েট বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।। কিন্তু আসলে ব্যাপার তা নয়। এসব বিধিনিষেধ আরোপের পরিবর্তে নিজেকে সতেজ রাখুন এবং লক্ষ্যগুলোকে একটি নতুন পরিকল্পনায় সাজান। সময়ের সাথে সাথে আপনি দায়বদ্ধতার ভার নিতে পারবেন।

শরীরের ক্ষুধা এবং মনের ক্ষুধার মাঝে পার্থক্য করুন : অনেক সময়, আমরা আমাদের শরীর এবং মনের চাহিদার মধ্যে পার্থক্য করতে ব্যর্থ হই। যখন আমরা শারীরিকভাবে ক্ষুধার্ত হয়ে থাকি তখন আমরা আমাদের পেটে হঠাৎ গ্রোথ বা আমাদের বুকে অস্বস্তি অনুভব করি। যাইহোক, মনের ক্ষুধা এক নয়। এটি অভ্যাস, সংবেদন, আবেগ এবং আমাদের চারপাশের দ্বারা চালিত হয়। বলা হচ্ছে, আমাদের শারীরিক চাহিদা এবং আমাদের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে পার্থক্যটি মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবেই আমরা আরও সচেতন হতে পারব।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর