রামেক হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে একটি বস্তি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগরের রাণীনগর পানির ট্যাংকি এলাকার পল্টুর বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের তৎপরতায় চুরি হওয়ার পরদিনই ওই নবজাতককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযানে নবজাতক চুরিতে জড়িত নারী ও তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- মৌসুমি বেগম (২৩) ও তার স্বামী সজিব হোসেন (২৫)। তারা পানির ট্যাংকি এলাকায় পল্টুর কমিশনারের বস্তিতে থাকেন।
আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া চুরিতে জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, বিক্রির জন্য ওই শিশুটিকে রামেক হাসপাতাল থেকে চুরি করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রামেক হাসপাতালের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে রবিদাস সম্প্রদায়ের কমলী রবিদাস শিল্পী নামে এক নারীর কন্যাশিশু চুরি হয়। মহানগরের বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা কমলী সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ কন্যাশিশুর জন্ম দেন। এটিই তার প্রথম সন্তান।
প্রসব বেদনা নিয়ে গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে কমলীকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তির পর এক তরুণীর সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ওই তরুণী তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করছিল। কিন্তু তার পরিচয় কেউই জানতেন না। শুক্রবার সকালে ওই নবজাতককে কোলে নিয়ে তার মা ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে কমলী দেখেন তার সন্তান বিছানায় নেই। আর অজ্ঞাতপরিচয় ওই তরুণীও গায়েব।
তাকে হাসপাতালের কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে রামেক হাসপাতাল বক্স পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এছাড়া নবজাতক চুরির ঘটনায় রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।
রাজশাহী বার্তা/admin