রাত পোহালেই ভোট, কে হচ্ছেন পৌর পিতা!
সারোয়ার হোসেন, রাজশাহী: সকল প্রার্থীদের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাত পোহালেই ভোট। এখন শুধু অপেক্ষার পালা কে হচ্ছেন তানোর পৌর বাসীর নির্বাচিত মেয়র। তানোর পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন মোট ৩জন।
এর মধ্যে বিএনপি থেকে রয়েছে ২জন ও আওয়ামী লীগ থেকে রয়েছে ১জন। তবে বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। আর মানুষ দেখানো স্বতন্ত্র প্রার্থীর নামে খেজুর গাছ মার্কায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট করছেন সদ্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক ছাত্র দলের সভাপতি আব্দুল মালেক।
এতে করে সুবিধা জনক অবস্থায় রয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইমরুল হক৷ ফলে, এবার তানোর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যেহেতু এটা প্রতীকের নির্বাচন তাই মাঠে ঘাটে শুধু নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বেশী। পৌর এলাকার বিভিন্ন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সময় শেষ হলেও প্রার্থীরা গভীর রাত পর্যন্ত পাড়া মহল্লায় অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে প্রার্থীরা। এতে কেউ কেউ প্রার্থীদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আবার কেউ টাকা না নিয়েই ভোট দিবেন বলে প্রার্থীদের জানাচ্ছেন। গতবারের চাইতে এবার ভোট কেন্দ্র বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৩টি কেন্দ্র।
যা গত পৌরসভা ভোটে ছিলো ৯টি। যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়েছে ১নং ওয়ার্ডের হরিদেব পুর ভোট কেন্দ্র ও তালন্দ এ এম উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল ভোট কেন্দ্র। বিশেষ করে এ দুইটি কেন্দ্রে ভোট কারচুপির আশংকা করছে প্রার্থীরা। তবে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, তানোর পৌরসভা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত তেমন কোন সমস্যা দেখা যায়নি। তার পরেও বিশেষ করে ১নং ওয়ার্ড হরিদেবপুর ও তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে, তাই এই দুই কেন্দ্রে বিশেষ নজর রাখতে দেয়া হয়েছে বিজিবি ও পুলিশের বিশেষ টহল দল। যদি কোন রকম সমস্যা দেখা যায় তাহলে সেখানেই ভ্রাম্যমান টিম আদালত বসিয়ে জেল জরিমানা করা হবে বলে তিনি জানান।
তানোর পৌরসভার ভোটার সংখ্যা মোট-২৪হাজার ৬শ ৬৭ভোট। পুরুষ ভোটার হচ্ছে ১২হাজার ৩৮ভোট। মহিলা ভোটার হচ্ছে ১২হাজার ৬শ ৩৯ভোট।
রাজশাহী বার্তা/admin