কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারের অত্যন্ত ফলপ্রসূ উদ্যোগ: ডা. শিমুল এমপি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেছেন- গর্ভবতী মায়েদের প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী সেবা দেয়া, শিশুর সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার-পরিকল্পনা শিক্ষা ও পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণ জনপদের পিছিয়ে পড়া লোকজনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা ১৯৯৮ সাল থেকে হেলথ অ্যান্ড পপুলেশন সেক্টর প্রোগ্রামের অধীনে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেন। সেই থেকে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা অতিক্রম করে আজ স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে সফল ও মডেল কর্মসূচি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। এরই ধারাবাহিকতায় প্রান্তজনের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করছে সরকার। তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগণের আস্থা অর্জন করে স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব ঘটিয়েছে এ ক্লিনিক। প্রত্যন্ত জনপদের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে কমিউনিটি ক্লিনিক। মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিককে স্বাস্থ্যসেবার আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করে। তারা এখন যে কোনো অসুখে প্রথমেই ঘরের পাশের কমিউনিটি ক্লিনিকে যাচ্ছেন। সব রোগের চিকিৎসা না পেলেও পাচ্ছেন সঠিক পরামর্শ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপন করা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এভাবেই সহজ করেছে চিকিৎসাসেবা। ফলে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার চিত্র। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ উদ্যোগ। এ উদ্যোগের ফলে প্রান্তিক দরিগদ্র জনগোষ্ঠী বাড়ির পাশেই স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক যেন মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারে সেজন্য সরকার, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি গ্রুপ ও সাপোর্ট গ্রুপসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। সিএইচসিপিদের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তদারকির মাত্রা আরও বাড়ালে ক্লিনিকের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিতভাবে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত হলে সেবা গ্রহীতার আস্থা আরও বাড়বে। সিএইচসিপিদের কাজের প্রতি আন্তরিকতা আরও বাড়ানোর আহবান জানান তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়রা খান মেবিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি বেগম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই এমটি কামরুজ্জামান, সিএইচসিপি সোহেল রানা, উজিরপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলকেশ উদ্দিনসহ সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন- এই কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৭ পদের ওষুধ বিনামূল্যে রোগীদের দেয়া হবে। পাশাপাশি রোগীদের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য পৌঁছে দিতে সিএইচসিপিসহ তিনজন চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকবে।
রাজশাহী বার্তা/admin