রাজশাহীর ‘বড়কুঠি’ জাদুঘর হচ্ছে

সময়: 10:53 am - March 21, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 388 বার

রাজশাহী মহানগরীর পদ্মারপাড়ে অবস্থিত সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ‘বড়কুঠি’ ভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরিত ও দর্শকদের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ভবনটিতে ওলন্দাজদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও তথ্য-উপাত্ত থাকবে।

বৃহস্পতিবার ভবনটির সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এদিন ভবনটির সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন বড়কুঠি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বাংলায় এসে ওলন্দাজরা রাজশাহীর পদ্মার তীরে এই ভবন নির্মাণ করেছিল। পরে ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বড়কুঠি ভবনে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন ছিল।

মেয়র আরও বলেন, বড়কুঠিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় ২০০৯-২০১৩ সালে তিনি প্রথম মেয়াদে রাসিকের মেয়র থাকাকালে চেষ্টা করেছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তৎকালীন উপাচার্যকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ভবনটির সংস্কারের জন্য। কিন্তু ঐ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। আজ আনন্দের দিন, অনেক পরে হলেও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বড়কুঠির সংস্কার ও সংরক্ষণকাজ শুরু করতে পেরেছে।

সভায় বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের প্রচেষ্টা ও ইচ্ছাতেই অবশেষে বড়কুঠি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ শুরু করা হলো। এ জন্য মেয়রকে ধন্যবাদ জানান তিনি। রাজশাহীর পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিতে আজকের দিনটি মাইলফলক।

সভাপতির বক্তব্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা বলেন, ২০১৮ সালের মে মাসে বড়কুঠিকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বড়কুঠির সংস্কার ও সংরক্ষণকাজ কোভিড পরিস্থিতির কারণে শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হলো। প্রথম পর্যায়ে ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সংস্কার কাজ শুরু হলো। ইতিমধ্যে বড়কুঠিকে একটি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। সেই প্রকল্প থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পাওয়া যাবে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে বৃহৎ পরিসরে সংস্কার, সংরক্ষণ ও জাদুঘর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এটি ওলন্দাজরা নির্মাণ করেছিল, তাই জাদুঘরটি ডাচদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, ছবি, পেইন্টিং, বড়কুঠি নির্মাণের ইতিহাসসহ সবকিছু সংরক্ষণ করা হবে। কাজ শেষে জাদুঘরটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ওলন্দাজদের ব্যবহৃত কোনো জিনিসপত্র, তথ্য-উপাত্ত যদি কারো কাছে থেকে থাকে, তাহলে আমাদের প্রদানের অনুরোধ করছি।’

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর