রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনা, শেষবিদায়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন
উপজেলায় মাইকযোগে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার কথা মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মরদেহ এলে জানাজা-দাফনের সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। এভাবেই মাইকে প্রচার চলানো হচ্ছে।
স্বজন হারাদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পরিবেশ। কান্নার রোল পড়েছে গ্রামে গ্রামে। চলছে সন্তানহারা মায়ের আহাজারি। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিতৃহীন ছেলেও। পীরগঞ্জের চার ইউনিয়নে চলছে শোকের মাতম।
নিহতরা হলেন- উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের সালাহউদ্দিন (৩৮), তার স্ত্রী সামসুন্নাহার (৩২), শ্যালিকা কামরুন্নাহার (২৫), ছেলে সাজিদ (১০) ও মেয়ে সাবাহ খাতুন (৩), রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় মহাজিদপুর গ্রামের ফুল মিয়া (৪০), তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), ছেলে ফয়সাল (১৫), মেয়ে সুমাইয়া (৭) ও সাবিহা (৩), একই ইউনিয়নের দুরামিঠিপুর গ্রামের সাইদুর রহমান (৪৫), পীরগঞ্জ পৌরসভার প্রজাপাড়ার মোটরসাইকেল মেকার তাজুল ইসলাম ভুট্টো (৪০), স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫), ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিন (১৪), রায়পুর ইউনিয়নের দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামের মোকলেছার রহমান (৪০), স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৫) ও ছেলে পাভেল মিয়া (১৮)।
এ দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান পাভেল নামে এক তরুণ। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাবা মোখলেছার (৪৫) ও মা পারভীন (৩৫) আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। তাদের বাড়ি পীরগঞ্জের রায়পুর ইউনিয়নের দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামে।
রাজশাহীর কাটাখালীর মর্মান্তিক ওই সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ নিহত ১৭ জনই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে দুর্ঘটনার সংবাদ জানার পর থেকে নিহতদের বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। স্বজন হারাদের আর্তনাদে গ্রামে গ্রামে শুরু হয় শোকের মাতম। একসঙ্গে এতোগুলো মানুষের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে পীরগঞ্জ উপজেলা। ঘটনার একদিন পর এখন লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা।
রাজশাহী বার্তা/admin