বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার না করলে জনগণ রাজপথে নামবে: ফখরুল
জনবিচ্ছিন্ন বর্তমান সরকার গণমানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা না করে আবারো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি এবং আগামী মার্চ থেকে তা কার্যকরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার রাতে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় রাজপথে নেমে জনগণ বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোচ্চার হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান বিনা ভোটের সরকার জবাবদিহিতার তোয়াক্কা করে না বলেই একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে, যা মার্চ থেকে কার্যকর হবে। ইউনিট প্রতি বিদ্যূতের দাম বেড়েছে ৩৬ পয়সা। দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠলেও সরকার তা পরোয়া করে না।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও লুটপাটের ওপর নির্ভর করার জন্য জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনায় না নিয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোপূর্বে কয়েকবার বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যখন ক্ষুব্ধ তখন আবারও নতুন করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান সরকার জনগণের ভালমন্দ বিচার করতে চায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের ব্যাপক পরাজয় হবে, সেজন্য জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই তারা দফায় দফায় বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উন্নয়ন বুলির আড়ালে লুটপাটের মহোৎসবের কাহিনী এখন মানুষের মুখে মুখে। বিদ্যুতের এই মূল্য বৃদ্ধি সরকারের লুটপাটেরই বর্ধিত প্রকাশ। এই মূল্য বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। স্বল্প আয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারিরা দুর্বিষহ অবস্থায় পড়বে। কলকারখানা ও কৃষিতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। সরকারের প্রতিটি নীতি হচ্ছে হরিলুটের নীতি, জনগণ মরে যাক, তাতে সরকারের কিছুই আসে যায় না। গণবিরোধী সরকারের অংকটি খুবই সোজা। তারা চুরি করে ক্ষতির টাকা জনগণের পকেট থেকে কর্তন করতে চায় বলেও মনে করেন ফখরুল।
রাজশাহী বার্তা/admin