স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে কলঙ্কিত করেছে হেফাজত: আইজিপি
সময়: 7:15 pm - April 1, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 143 বার
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) গত ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হামলায় গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদেরকে দেখতে আজ (৩১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান।
তিনি কিছু সময় তাদের শয্যাপাশে অবস্থান করে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সাথেও কথা বলেন তিন।
ঢাকা সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানার ২নং শহর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ নুরুল আলম এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার এসআই মোঃ মেহেদী হাসান। গুরুতর আহত সহকারী পুলিশ সুপার হুসাইন মুহাম্মাদ ফারাবী বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরে আইজিপি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, ‘২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে হেফাজতকর্মীরা সারা বাংলাদেশে তাণ্ডব চালায়। প্রথমে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, পরে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে কোমলমতি ছাত্রদেরকে ব্যবহার করা হয়। হাজার হাজার ছাত্র হাটহাজারী থানা আক্রমন করে। ওখানকার ডাকবাংলোয় আক্রমন করে। হেফাজতকর্মীরা ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেয়। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় ভূমি অফিসের সমস্ত কাগজপত্র, ল্যান্ড রেকর্ড একত্র করে তারা জ্বালিয়ে দেয়। সরকারের রেকর্ডপত্র জ্বালিয়ে দেয়ার মানে হচ্ছে সেই অঞ্চলের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ বছরের পর বছর এ সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগবেন’।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষানবিশ এএসপি যিনি হাটহাজারী থানায় প্রশিক্ষণরত ছিলেন। তিনি ডাকবাংলোতে অবস্থান করতেন। তাকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়। একইভাবে ডিইউটিরত একজন কনস্টেবলকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাকবাংলোর সামনে দায়িত্ব পালনরত একজন সাব-ইন্সপেক্টরকে গুরুতর আহত করা হয়।
আইজিপি বলেন, এএসপি এবং সাব-ইন্সপেক্টরকে প্রথমে চট্টগ্রাম সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। পরে সাব-ইন্সপেক্টরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় সিএমএইচ-এ উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় তারা। তাদের আক্রমনে গুরুতর আহত হন ইন্সপেক্টর নুরুল আলম। তাকে এয়ার এম্বুলেন্সে করে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এ ধরনের বর্বরোচিত আক্রমনের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।