সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে নওগাঁয় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন
করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বুধবার থেকে সারা দেশর ন্যায় নওগাঁতে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউন মানাতে যথেষ্ট তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে রমজানের শুরুর দিনে কঠোর লকডাউনে বিভিন্ন অজুহাতে যে সব মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরকে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লকডাউনে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষ অনেকে রাস্তায় নেমেছেন। যানবাহন না থাকলেও রাস্তায় বেশকিছু রিকশা-ভ্যান ও মোটরসাইকেল চোখে পড়েছে। আবার অনেক মানুষকে পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। বন্ধ রযেছে দোকানপাট।
তবে কাঁচাবাজারগুলো খোলা জায়গায় স্থানান্তরের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয় নি। ফলে কাঁচাবাজার গুলোতে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নাই।
সকাল ১১টায় শহরের মুক্তির মোড়ে পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। যানবাহন বন্ধ থাকায় রিকশা-ভ্যানে করে যেসব মানুষ প্রয়োজনীয় কাজে যাচ্ছে। পুলিশ তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন। সদুত্তর না পাওয়ায় অনেককেই রিকশা থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশি প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দিয়ে তাকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দোকানপাট খোলা রাখার দায়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশিদ জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার এই লকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই সকলকে অন্তত পক্ষে নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে লকডাউন মেনে চলার আহবান জানান।
পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া জানান, দেশকে করেনার হাত থেকে রক্ষার স্বার্থে সরকারের নির্দেশে সারাদেশে লকডাউন চলছে। যে কোন ভাবেই হোক সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ বাহিনী সদা সচেষ্ট রয়েছে।
রাজশাহী বার্তা/admin