পাকা আমের সুবাসে মাতোয়ারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ
করোনাকালে পাঁকা আমের মিষ্টি সুবাসে ভরে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রকৃতি। দক্ষিণা বাতাসে সুমিষ্ট আমের ঘ্রাণ সকলকে বিমোহিত করে তুলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের। এদিকে আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন চাষিরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সুন্দরপুর এলাকার আজমাইন হোসেন বলেন, ‘বাগানের অধিকাংশ গাছে মুকুলে এসেছিল। এবার অনুকূল আবহাওয়া থাকায় ভালো ফলনও হয়েছে। এখন আম ভালো রাখতে মালিক ও ব্যবসায়ীরা এর পরিচর্য়ায় ব্যস্ত রয়েছেন।’
শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে কানসাট আম বাজারে কথা হয় ইসমাইল হোসেন নামের এক আমচাষির সঙ্গে। তিনি জানান, এবার তার প্রায় ৪০০ মণ আম রয়েছে। এরমধ্যে আশ্বিনা জাতের আম রয়েছে প্রায় ২০০ মণ। এ আমগুলো এরইমধ্যেই ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে। আর বাকিগুলো বিভিন্ন জাতের আম। শুক্রবার তিনি কানসাট বাজারে হিমসাগর আম বিক্রি করছেন ১ হাজার ৫৫০ টাকা মণ দরে।
এদিকে বাজিতপু্র গ্রামের ব্যবসায়ী শরিফ উদ্দিন জানান, ১৫ দিন আগে প্রায় দুই বিঘা জমির ১৯টি হিমসাগর ও ল্যাংড়া জাতের আম গাছ কিনেছিলেন ১ লাখ টাকায়। এখন তিনি গাছ থেকে আম পেড়ে কানসাট বাজারে বিক্রি করছেন। প্রায় ৫০ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছেন।
তিনি আরও জানান, আরও কিছু আম রয়েছে বাগানে। এ থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকা লাভ হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি। তবে এবার করোনার কারণে আমের দাম কম বলে জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি বছর আমচাষি ও বাগান মালিকরা বাগানের অতিরিক্ত পরিচর্যা ও নিয়মিত যত্ন নিয়েছেন। এতে গাছে মুকুল এসেছিল ৯০ শতাংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর হিমসাগর, লাংড়্যা ও গোপালভোগ আম বেশি উৎপাদিত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বাজারে ভালো দাম পেয়েছেন। তবে বাজারে গুটি আমের দাম কম। গেল বছরও ব্যবসায়ীরা আমের ভালো দাম পেয়েছেন। আশা করা হচ্ছে এবারও ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকেরা লাভবান হবেন।’
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। জেলায় আম গাছ রয়েছে প্রায় ৩৫ লাখের বেশি। এবার আমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আড়াই লাখ মেট্রিক টন।
রাজশাহী বার্তা/admin