পাবনা গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র হাতে আ.লীগ নেতার প্রবেশ নিয়ে তোলপাড়

সময়: 9:23 pm - June 12, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 151 বার

ঠিকাদারির কাজে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের ভবনে অস্ত্র হাতে নিয়ে দুই আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন যুবলীগ নেতার প্রবেশের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ না দিলেও প্রশাসন বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তে নেমেছে।

৬ জুন এই ঘটনা ঘটলেও সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা এমন একটি ফুটেজ শনিবার (১২ জুন) এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি জাগো নিউজের প্রতিবেদকের হাতেও আসে।

এ বিষয়ে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঠিকাদাররা আমার কক্ষে এসেছিলেন। তারা আমার টেবিলে অস্ত্র রেখে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন। তারা খারাপ আচরণ বা হুমকি দেননি।’

বিল কিংবা দরপত্রকে কেন্দ্র করে এই মহড়া কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি পাবনায় নতুন যোগ দিয়েছি। তাদের সব বিষয়ে আমার জানা নেই।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা গণপূর্ত বিভাগের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, ‘এমন মহড়ায় তাদের আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। কিছু ঠিকাদারের কার্যকলাপে অন্য ঠিকাদাররাও তটস্থ থাকেন।’

পাবনার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অফিসের বাইরে ছিলাম। তবে সিসিটিভি ফুটেজে অস্ত্র হাতে অনেকে এসেছে দেখেছি। তারা আমাকে সরাসরি বা ফোনে কোনো হুমকি দেননি। কথাও হয়নি। তাই আমরা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ করিনি।’

গণপূর্ত বিভাগে দলবল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার নই। বিল সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে মামুন ও লালু আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। তবে এভাবে যাওয়া আমাদের উচিত হয়নি।’

আওয়ামী লীগ নেতা মামুন বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে বৈধ অস্ত্র নিয়ে আমি ব্যবসায়িক কাজে ইটভাটায় যাচ্ছিলাম। পথে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে কথা বলতে গণপূর্ত বিভাগে যাই। কিন্তু তিনি না থাকায় আমরা ফিরে আসি। তাকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়নি। প্রতিপক্ষ ঠিকাদাররা বিষয়টিকে অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টা করেছেন।’

একই ধরনের কথা জানালেন পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু। তিনি বলেন, ‘ভুলবশত আমরা অস্ত্র নিয়ে অফিসে ঢুকে পড়েছিলাম।’

পাবনার পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর