প্রথমবার ‘মিস আর্থ’-এ অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ
মিস ওয়ার্ল্ড’ ও ‘মিস ইউনিভার্স’-এর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুন্দরী প্রতিযোগিতা মনে করা হয় ‘মিস আর্থ’-এর আয়োজনকে। প্রথম দুটি আসরের আয়োজনে বাংলাদেশ নিয়মিত অংশ নিলেও এবার প্রথমবারের মতো ‘মিস আর্থ’-এর আয়োজনেও নাম লেখাতে চলেছে বাংলাদেশ।
বার্ষিক আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আসর হলেও ‘মিস আর্থ’-এর মূল লক্ষ্য সকলের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি করা। এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মিস ইন্টারন্যাশনাল ও মিস ইউনিভার্স। পাশাপাশি এটিও বিশ্বের প্রধান তিনটি সুন্দরী প্রতিযোগিতার একটি। বাকি তিনটি প্রধান প্রতিযোগিতার মতোই এতেও জাতীয় পর্যায়ের সুন্দরী মুকুটধারীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন।
তারই অংশ হিসেবে এই আয়োজনে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতেই সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন আয়োজক‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’-এর ন্যাশনাল ডিরেক্টর নায়লা বারী। সেখানে আয়োজনটি নিয়ে বিস্তারিত তুল ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নায়লা জানান, প্রথমবারের মতো ‘মিস আর্থ’-এ অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার অন্যান্য প্লাটফর্মগুলোর মতোই সুক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি খুঁজে বের করা হবে, যিনি নির্বাচিত হয়ে ‘মিস আর্থ’-এর মূল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করবেন।
তিনি আরো জানান, অন্যান্য সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মূল কথা হয়তো সুশ্রী ও সপ্রতিভ মুখ এবং বুন্ধিমত্তা। কিন্তু ‘মিস আর্থ’ প্রতিযোগিতায় তিনি অনন্য বিবেচিত হবেন যিনি ওই গুণগুলোর পাশাপাশি প্রকৃতিকে রক্ষা নিয়ে ভাবেন এবং কাজ করতে চান। ‘মিস আর্থ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ৩০% পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক নীতি সংক্রান্ত যোগ্যতা ও জ্ঞান, ৩৫% সৌন্দর্য, ২০% শারীরিক গঠন, ১৫% মনোভাবসহ অনন্য বিষয় লক্ষ্য করা হবে যা কিনা ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখা হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের অবশ্যই বাংলাদেশি হতে হবে। যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং অবিবাহিত। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ওয়েবসাইটের (www.misserthbangladesh.com) মাধ্যমে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’-এর রেজিস্ট্রেশন। যেটি চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস ধরে।
নায়লা জানান, রেজিস্ট্রেশন শেষে জোন ভাগ করে জেলা ও বিভাগীয় প্রাথমিক বাছাই কার্যক্রম চলবে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে বাছাই শেষে সারা বাংলাদেশ হতে সেমিফাইনালে ২১ জনকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিতদের মে মাসে ঢাকায় রেখে গ্রুমিং করা শেষে বাংলাদেশের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে। এছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় সাথে থাকবে পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক চলচ্চিত্র তৈরির প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারকারীকে সেপ্টেম্বর মাসে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলাতে পাঠানো হবে। সেখানে গ্রুমিং সেশনে অংশগ্রহণ শেষে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশে জেলা ও চূড়ান্ত বিচার কার্যে কারা থাকবেন এটি পরবর্তীতে আরেকটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’-এর আয়োজক। ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাদেরকে পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি বিজ্ঞাপন, নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ করে দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’-এর পুরো কার্যক্রমের আয়োজক ও লাইসেন্সি প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপল নাইন গ্লোবাল’।
রাজশাহী বার্তা/admin