রাজশাহীতে কমিটি অনুমোদনে ছাত্রলীগ নেতার অর্থ দাবি!

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা অর্থ দাবির অভিযোগ উঠেছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়ার নাম করে দুর্গাপুর পৌরসভা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এই অর্থ দাবি করা হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে তিন লাখ টাকা খবর হয়েছে জানিয়ে আতিকুর রহমান আতিক এই অর্থ দাবি করে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগের অনুলিপি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছেও পাঠানো হয়েছে। সংগঠনের প্যাডে সোমবার এই লিখিত অভিযোগ করেন পৌরসভা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল খান ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ।

তারা জানান, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুই সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। এছাড়া এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে বলেন। এরপর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি তালিকা জমা দেয়া হয়। কিন্তু ৬ মাস হয়ে গেলেও সে কমিটি অনুমোদন দেননি।

রাজু আহমেদ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্মতি দিলেও সাধারণ সম্পাদক আতিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি (আতিক) আমাদের বলেন, তিন লাখ টাকা খরচ করে আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। তোমরা যদি ৫০ হাজার টাকা আমাকে চাঁদা না দাও তাহলে আমি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেবো না।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক কমিটি অনুমোদনের জন্য চাঁদা দাবির বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকায় পৌরসভা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক যাদের নাম দিয়েছিল তাদের ভেতরে অনেকেই বিএনপি জামায়াতের সমর্থক। তাই কমিটি অনুমোদন দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিন লাখ টাকা খবর করে সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার বিষয়টিও সত্য নয় বলে দাবি করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।