চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝরছে মুকুলের ফুল, বেরুচ্ছে আমের গুটি

সময়: 12:21 pm - March 22, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 602 বার

আমের সাম্রাজ্য বলা হয় উত্তর জনপদের সর্বশেষ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জকে। সে আমের সামাজ্যের সবখানেই গাছের মুকুল থেকে ইতোমধ্যে ঝরে গেছে ফুল, বেরিয়ে পড়েছে আমের গুটি। গাছে গাছে আমের গুটি দেখে এবার আমের ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৯৮ ভাগ গাছেই মুকুল আসে। মুকুল থেকে বের হওয়া আমের গুটিগুলোকে টিকিয়ে রাখতে পরিচর্যা করছেন চাষিরা। তার ওপর মৌসুমের শুরুতেই এবার বৃষ্টি ঝরেছে।

যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বৃষ্টি আমের ভালো ফলনের পক্ষেই রয়েছে। এসময় টানা কয়েকদিন গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেও যে লাভ না হতো, তারচেয়েও বেশি লাভ হয়েছে ওই বৃষ্টিতে। বৃষ্টির পানিতে আমের গুটি আকারে বড় হবে, ফলনও বাড়বে।মাঝে-মধ্যে হওয়া বৃষ্টির ফল ভালো বলে উল্লেখ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হুদা।

তিনি বলেন, মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে আমের গাছের পাতার ওপর থেকে ধুলা-ময়লা ধুয়ে গেছে। এতে পাতার মাধ্যমে মুকুলগুলো বেশি পরিমাণে সূর্যালোক থেকে খাদ্যগ্রহণ করেছে। এ কারণে গুটির ঝরে পড়া যেমন রোধ হবে তেমনি আকারও হবে বড়। তাছাড়া বৃষ্টির পরদিন পর্যাপ্ত রোদ হওয়ায় মুকুলের কীটপতঙ্গগুলো মারা যাবে। ফলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

কৃষি বিভাগ ও আমচাষিরা বলছেন, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ভালো ফলন হবে এ বছর। মুকুল আসার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করছেন আমবাগানের মালিক ও চাষিরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কীটনাশকও ব্যবহার করছেন তারা।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রায় সব জাতের আমের উৎপাদন হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর কৃষি জমিতে বাড়ছে আমের আবাদ। ক্ষীরশাপাতি, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি, রাজভোগ ও গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাগান গড়ে উঠেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের উৎপাদিত আম এলাকার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া বড় একটা অংশ বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর, পৌর এলাকার উপরাজারামপুর, শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট, মনাকষা, শাহাবাজপুর, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুরের বেশ কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, আমের গুটি বেড়েনো শুরু করেছে।

এদিকে কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন জানান, আম বাগান পরিচর্যা বিষয়ক একটি লিফলেট ইতিমধ্যে আম চাষীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। আমের মুকুল থেকে আম ফল গাছ থেকে পাড়া পর্যন্ত এ লিফলেট বিতরণ চলবে বলে নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া কেমিক্যালমুক্ত আম উৎপাদনে প্রতি বছরের মত এবারও আম চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর