রাজশাহীতে অঘোষিত লকডাউন চলছে
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে। সরকারি হিসাবে ইতোমধ্যে মারা গেছেন পাঁচ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে দেশে বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। শুধু খোলা রয়েছে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বের হচ্ছে না।
সবকিছু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় রাজশাহীতেও হঠাৎ করেই থমকে গেছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন এবং কার্যক্রম। প্রায় ১০ লাখ মানুষের ছোট্ট শহর রাজশাহীর রাস্তা সকাল থেকে ফাঁকা। দোকানপাটও খুলেনি। বাজারের আশেপাশে কিছু মানুষের হঠাৎ দেখা মিললেও তা একেবারেই নগণ্য। বিশেষ করে সকালে বাজার এলাকায় কিছু লোকজন দেখা গেলেও সেনাবাহিনীর টহলের পর তা জনশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে ঘোষণা না থাকলেও কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজশাহী শহরজুড়ে।
দেশে নতুন করে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি জানান, মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১১ জন। মারা গেছেন পাঁচজন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮ জন।
সেব্রিনা ফ্লোরা আরও বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে ঢাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফিরে গেছেন ঢাকার অস্থায়ী বাসিন্দারা। যারা ঢাকা ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তাদের প্রত্যেকের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কারণ গণপরিবহনেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি রয়েছে। কেউ যদি আক্রান্ত হয় তার মাধ্যমে যেন পরিবারের সদস্য বা আশাপাশের লোকজন আক্রান্ত না হয় এ জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
রাজশাহী বার্তা/admin