রাজশাহী শহরে বেড়েছে মানুষের চলাফেরা
সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় রাজশাহী শহর ছিল ফাঁকা। অটোরিকশা-রিকশাও কম ছিল। মানুষজন কাজ ছাড়া খুব একটা বের হননি। কিন্তু অবস্থা পাল্টে যাচ্ছে। শহরে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে। যেন পুরনো শহরের রূপ ফিরে আসছে।
বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট খোলা পাওয়া গেছে। মোড়ে মোড়ে দুই-একটি চায়ের স্টলও খোলা আছে। মানুষের এমন অসচেতন আচরণে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার নগর ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় গত তিনদিনের তুলনায় প্রচুর অটোরিকশা। এক রিকশাতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা যাচ্ছেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। চায়ের স্টলও খোলা পাওয়া গেছে। বন্ধ থাকা দোকানপাটও কিছু খুলেছে। মুদি দোকান ও কাঁচাবাজারেও যথেষ্ট ভিড় আছে।
এদিকে, গত দুইদিন ধরে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মহীন মানুষকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়। সেখানে লাইনে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়েছিলেন ত্রাণ নিতে আসা লোকজন। তবে ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের অনেককে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ দিতে দেখা গেছে।
২৬ মার্চ থেকে রাজশাহী নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়েছিল। অটোরিকশা থামিয়ে প্রতি অটোতে সর্বোচ্চ দুজন করে যাত্রী বহনের নির্দেশ দিচ্ছিল। ২৭ মার্চ থেকে বিনা কারণে বের হলে কিংবা মাস্ক ছাড়া বের হলে কান ধরিয়ে ওঠবস করেছিল পুলিশ।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকেও তাদের দায়িত্ব ঠিক করে দেওয়া হয়। দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিনয়ী, সহিষ্ণু ও পেশাদার আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কদ্দুস বলেন, করোনা বিষয়ে তারা আইন শিথিল করেননি। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কমে গেছে, তাই হয়তো বের হচ্ছেন। তাঁর দাবি, কেউ বিনা কারণে বের হচ্ছেন না।
তিনি বলেন, খাবার দোকানগুলো খোলা রাখা হয়েছে। তবে পুলিশ দেখছে, সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে কিনা। কিছু চায়ের দোকান ও ভেতরের দিকে কিছু দোকানপাট খুলেছেন অনেক দোকানদার। সেগুলো তারা অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছেন।
রাজশাহী বার্তা/admin