রাজশাহী মহানগরীতে শুরু হলো ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি
রাজশাহী মহানগরীতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে নগরীর ৩২টি পয়েন্টে একযোগে এ চাল বিক্রি শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে এ কর্মসূচিও চালানো হচ্ছে।
প্রতি সপ্তাহের রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই তিন দিন ৩২ টি পয়েন্টে এ চাল বিক্রি করা হবে। জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে সপ্তাহে ১ বার করে মাসে ২০ কেজি করে চাল ক্রয় করা যাবে। চাল নিতে হলে ক্রেতাকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখাতে হবে। এই ওএমএস কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে খাদ্য বিভাগের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের তদারকিও থাকবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) হামিদুল হক জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর ৩২টি পয়েন্টে রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে তিনদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হবে।
তিনি জানান জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে মাসে একজন ব্যক্তি ২০ কেজি চাল কিনতে পাারবেন। দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) মানুষজন ভোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন। চাল কেনার সময় প্রত্যেককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। সুশৃঙ্খলভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কেনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে বিক্রি শুরু পর মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনতে দেখা গেছে। নগরীর উপকণ্ঠ মোল্লাপাড়া লিলি সিনেমা হল এলাকায় মানুষ প্রচন্ড রোদে দাঁড়িয়ে চাল কিনছিলেন লোকজন। একই রকম অবস্থা দেখা গেছে, তালাইমারি, কাদিরগঞ্জ আমবাগান, আসাম কলোনি, সপুরা, দাসপুকুর বউবাজার, টিকাপাড়া, কাজলাসহ বিভিন্ন এলাকায়।
জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভুইয়া বলেন, নগরীতে চাল বিক্রির জন্য প্রত্যেকটি পয়েন্টে খাদ্য বিভাগের তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের উপস্থিতিতেই ডিলাররা সাধারণ মানুষের মাঝে চাল বিক্রি করছেন। সুষ্ঠুভাবে চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে সতর্ক রয়েছে খাদ্য বিভাগ। এছাড়া যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চাল বিক্রির পয়েন্টগুলোতে পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করছে।
রাজশাহী বার্তা/admin