যো’নির দুর্গন্ধ দূর করার ৯টি ঘরোয়া উপায়

সময়: 4:54 pm - April 10, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 132 বার

যো’নির দুর্গন্ধের মূল কারণ হতে পারে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাই’নোসিস। এই রোগের চিকিৎসার জন্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু রোগ ছাড়াই যদি ঘাম বসে বা অন্য কারণে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে তবে কিছু জিনিস মেনে চললে এবং কিছু ঘরোয়া উপায়েই গন্ধের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব….

১. সব সময় সুতির অথবা আরামদায়ক দামি লাইক্রার অন্ত’র্বাস পরা উচিত। বাড়িতে থাকলে প্যান্টি না থাকাই ভাল, বিশেষ করে রাতে ঘুমোনোর সময়।

২. যো’নিতে কেশ না রাখাই ভাল, বিশেষ করে যাঁদের যো’নিকেশের ঘনত্ব খুব বেশি।

৩. দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার যো’নি পরিষ্কার রাখতে হবে। দু’বার স্নান করলে খুব ভাল। তা না হলে ওয়েট ওয়াইপ্‌স দিয়ে মুছে নিতে হবে যো’নি, নিতম্ব এবং থাইয়ের আশপাশের অংশ তবে যো’নির ভিতরে কখনওই ওয়াইপ দেওয়া উচিত নয়।

৪. বাথটাবে ইষদুষ্ণ জলে দু কাপ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে ২০ মিনিট বাথ নিন। অথবা প্রতিদিন এক গ্লাস জলে দু’চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন।

৫. এক কাপ জলে টি ট্রি অয়েল কয়েক ফোঁটা দিয়ে যো’নি ভাল করে ধুয়ে নিন দিনে অন্তত দু’বার। খুব তাড়াতাড়ি দুর্গন্ধ চলে যাবে।

৬. দিনে অন্তত তিনবার পোশাক এবং প্যান্টি পালটালে এমনিতেই দুর্গন্ধ কমবে।

৭. শরীরে প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট যত বেশি থাকবে ততই যো’নির ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রোবায়োটিক খেতে পারেন যাতে শরীরে গুড ব্যাকটেরিয়া বাড়ে।

৮. পরিষ্কার তুলো ইয়োগার্ট-এ ভিজিয়ে যো’নির ভিতরে কিছুক্ষণ রাখুন এবং যো’নির আশপাশও ওই তুলো দিয়ে পরিষ্কার করুন।

যত্ন

একজন নারীর নারী হয়ে উঠা সহজ কোনো ব্যাপার নয়। ঘরের এবং পরিবারের প্রাথমিক যত্ন- পরিচর্যা বিশেষত তাদেরও ওপরই নির্ভর করতে হয়। কর্মজীবী নারীদেরকে অফিসের পাশাপাশি বাসাবাড়িও দেখাশুনা করতে হয়। এটা সত্যি, নারীরা ক্লান্তিহীনভাবে তাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

কিন্তু তাদের অধিকাংশই নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নয়। তারা বেশি অবহেলা করে থাকেন তাদের বিশেষ অঙ্গের যত্নের ক্ষেত্রে। গোপনা’ঙ্গের প্রতি আলাদা যত্ন নেয়ার ব্যাপারে ৭৫ শতাংশ নারীই অসতর্ক।

নারীর যৌ’নাঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটেরিয়া ও ইস্টের(ছত্রাক) মতো অসংখ্য অণুজীব উপস্থিত থাকে।শরীরের ত্বকের মতো এসব অণুজীব ও ব্যাকটেরিয়ার একটি নির্দিষ্ট সমন্বয় যৌ’নাঙ্গের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অনুজীবগুলি, যৌ’নাঙ্গের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিহত করে এবং পিএইচ (অম্লত্ব ও ক্ষারত্বের স্থিতাবস্থা) নিয়ন্ত্রণ করে।

যখন এই অণুজীবগুলোর মধ্যে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়, তখন তা ইস্ট সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাই’নোসিস (যো’নিপথে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ) প্রভৃতি রোগের সৃষ্টি করে থাকে। সেই সঙ্গে নারীরা তাদের সঙ্গীদের মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। এসব কারণে নারীর বিশেষ অঙ্গের নিবিড় যত্ন নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর