ঢাকা সিটি নির্বাচনের হালহকিকত

সময়: 4:20 pm - January 30, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 142 বার

দুই সিটি নির্বাচন ঘিরে ঢাকায় এখন শেষ মুহূর্তের জমজমাট প্রচার চলছে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর সব ধরনের প্রচার বন্ধ করতে হবে। ভোটের নিরাপত্তায় এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী৷ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এবার সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে ভোটের দুই দিন আগে অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চারদিন নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করবে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামতে শুরু করেছেন। এবার নির্বাচনী প্রচারের সময় কয়েকটি জায়গায় হামলা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচন ঘিরে ঢাকায় ‘বহিরাগত ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ জড়ো করার অভিযোগও উঠেছে।

কয়েকদিন আগে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীর প্রচার দলের উপর হামলা ছাড়াও উভয় দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ সংঘর্ষে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছাত্রদলের এক সাবেক নেতা রয়েছেন।
 

ভোট ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার দুই সিটিতে মোট ৬৫ প্লাটুন বিজিবি নামানো হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরে ২৭ প্লাটুন এবং দক্ষিণে ৩৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ভোটের দিনের জন্য আরও ১০ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরও মোতায়েন করা হবে।
এ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অর্ধ লাথ সদস্য মাঠে থাকবেন। এছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমদের নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন সদস্যদের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনী এলাকায় টহলে থাকবেন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে থাকবেন আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা। দুই সিটির ২৪৬৮টি ভোট কেন্দ্রে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
 

মেয়র প্রার্থী:
এবার দুই সিটিতে মেয়র পদের জন্য লড়ছেন বিভিন্ন দলের ১৩ জন  (দক্ষিণে ৭, উত্তরে ৬ জন) প্রার্থী৷ তবে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চার প্রার্থীর প্রচারের ডামাডোলে অনেকটাই ম্রিয়মান অন্যরা। উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল৷

দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রধান চার প্রতিদ্বন্দ্বীর ইশতেহার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রাজধানীর মূল সমস্যাগুলো সমাধানের অঙ্গীকার করেছেন সবাই। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আধুনিক সচল ঢাকা গড়ার।
 

ভোটের তথ্য:
উত্তর সিটি করপোরেশন: সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি, সংরক্ষিত ১৮টি, মোট ভোট কেন্দ্র ১৩১৮টি। মোট ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। তাদের মধ্যে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ জন পুরুষ, ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন নারী।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি, সংরক্ষিত ২৫টি, মোট ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৫০টি। মোট ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। তাদের মধ্যে ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ জন পুরুষ; ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩ জন নারী।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর