নওগাঁয় একদিনে ১৫৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে; ১১৬ নেগেটিভ
নওগাঁয় একদিনে ১৫৭জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এরা সকলেই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে পালিযে আসা। এদের ১৭ জনের নমুনা সঙগ্রহ করা হযেছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৪২৬ জন। এসময় আরো ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত রাজশাহী ল্যাবে পাঠানো ১৭৭ জনের মধ্যে ১৬১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এদের কারোর মধ্যে করোনার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি এবং অবশিষ্ঠ ১৬ জনের নমুনার রির্পোট আগামী ২/১ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আকন্দ মোঃ আখতারুজ্জামান আলাল। এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজশাহী ল্যাবের রির্পোট অনুযায়ী জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া না গেলেও রাতের আধারে যে হারে আক্রান্ত এলাকা থেকে মানুষ পালিযে আসছে তাতে দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আকন্দ মোঃ আখতারুজ্জামান আলাল জানান গত ২৪ ঘন্টায় ২৫৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এরা সকলেই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে পালিযে এসেছে। খোজঁ নিযে জানা গেছে এই হিসাব ছাড়াও আরো অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত এলাকা থেকে পালিযে এসেছে। পালিযে আসার এই প্রবনতা অব্যাহত আছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। তারা প্রশাসনের চোখ ফাকিঁ দিযে রাতের অন্ধকারে রোগী সেজে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে , কখনো ট্রাকে আবার কেউ মটরসাইকেল চেপেও আসছে।
এদিকে আক্রান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে আসা বন্ধসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার লক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, বিভিন ব্যাক্তি ও সঙগঠনও নানা ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এতে শহরের পরিস্থিতি কিছুটা উনśতি হলেও গ্রামের মানুষের মধ্যে এখনো সচেতনাতার অভাব রয়েছে। গ্রামের মোড়ে মোড়ে এখনো জটলা বেধে আড্ডা দেযা হচ্ছে। বসছে গ্রামীন হাট গুলো। সরকারী নির্দেনা ও স্বাস্থ্রবিধি মানা হচ্ছে না। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহলদল ওইসব এলাকায গেলেই তারা লুকিযে পড়ছে। টহলদল চলে গেলেই আবার সেই আড্ডা বসানো হচ্ছে। তবে কিছু এলাকার যুবকেরা স্ব-উদ্যোগে রাস্তার মোড়ে ও গ্রামের প্রধান সড়কে বাশের বেড়া দিযে নিজেরাই নিজেদের এলাকা সুরক্ষা রাখতে লোকডাউন করেছে। আর দিকে স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারি নির্দেনা লংঘন করার দায়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত ২০৮ জনকে ৬ লাখ ৩ হাজার ৯৪৫ টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইন নিয়ম ভংগ করার দায়ে আরো ২৮ জনকে ১ লাথ ৩৮ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেছে।
নওগাঁর সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারী বলেন আক্রান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে আসার প্রবণতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যেভাবেই হউক এই প্রবণতা ঠেকাতে হবে। প্রশাসনের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রোধে সকলকে এগিযে আসতে হবে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজে নিরাপদ থেকে অপরকেও নিরাপদে রাখতে হবে। সর্বোপরি প্রশাসন,সেনাবহিনী ও পুলিশ প্রশংসনীয় কার্যক্রমে চালিযে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশীদ বলেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জেলায় প্রতিদিন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত, ছয়টি সেনা টহল দল ও ১২শতাধিক পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোষ্ট বসানো হযেছে। ইতিমধ্যে সন্ধ্যার ৬টার পর শহর ও গ্রামে অযথা ঘোরাঘুরি ও আড্ডা বন্ধ করা হযেছে। সব কিছুই কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
রাজশাহী বার্তা/admin