গোদাগাড়ী আইহাইরাহী গ্রামে অসহায় ভুমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা
সারোয়ার হোসেন : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোদাগাড়ী ইউপির আইহাইরাহী গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র ভুমিগ্রাসী মোস্তফা মন্ডল একই গ্রামের নিরহ এক ভুমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করে ভিটেমাটি জবরদখলে মরিয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসির মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃস্টি হয়েছে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। স্থানীয়রা মানবিক দিক বিবেচনা করে ভুমিহীন পরিবারকে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিস্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সুত্র জানায়, উপজেলার গোদাগাড়ী ইউপির আইহাইরাহী গ্রামের মৃত নুরমোহাম্মদের পুত্র ভুমিহীন হযরত আলী আইহাইরাহী মৌজায় ২৭ শতক সরকারী খাস সম্পত্তিতে বসতঘর নির্মাণ করে প্রায় ৪০ বছর ধরে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন এবং (ইজারা) পত্তন গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।
কিন্ত্ত গ্রামের প্রভাবশালী মোস্তফা ওই ভুমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করে সম্পত্তি দখলে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন, আর হাতিয়ার হিসেবে একটি কুঁড়িকে ( জলাশয়) ব্যবহার করছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, ভুমিহীন হযরত আলী ও ভুমিগ্রাসী মোস্তফার বাড়ির মাঝে ফুলকুঁড়ি নামের একটি ছোট জলাশয় রয়েছে।
এদিকে ভুমিগ্রাসী মোস্তফা জলাশয়ের তিন দিকে পাকা প্রটেকশান ওয়াল নির্মাণ করে শুধুমাত্র ভুমিহীনদের পাশে ফাকা রেখে পুকুরে হাঁসচাষ করেছে। এতে প্রতিনিয়ত কুড়ির পাড় ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে পৌনে এক বিঘা আয়তনের কুড়ি এখন প্রায় তিন বিঘা পুকুরে পরিনত হয়েছে। এদিকে ভুমিহীনরা তাদের বসতঘর রক্ষায় প্রটেকশান ওয়াল দিতে গেলে তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে।
ভুমিগ্রাসী মোস্তফার উদ্দেশ্যে প্রটেকশান ওয়াল দিতে না পারলে এভাবে ভাঙতে ভাঙতে ভুমিহীনের পুরো বসতঘর এক সময় পুকুরে পরিণত হবে। এদিকে পুকুর পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে হজম করেছে মোস্তফা।এবিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রহুল আমিন বলেন, ভুমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে মোস্তফা যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
রাজশাহী বার্তা/admin