রাজশাহীতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়; নেই করোনা আতঙ্ক
রাজাহীতে মার্কেট খোলার পরই বেড়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। কেনাকাটা করতে যেন ঢল নামেছে ক্রেতাদের। ভিড়ের কারণে গত বুধবার থেকে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে দেখা দিচ্ছে রীতিমতো যানজট। যানজট নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামতে হয়েছে ট্রাফিক পুলিশকে। ফলে আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। গত প্রায় দুই মাস পরে রাজশাহী আবাসো ব্যস্তময় হয়ে উঠেছে।
এদিকে মানুষের ভিড়ে দেখা দিয়েছে চরমভাবে করোনা আতঙ্ক। করোনা সচেতনতায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হলেও সেই নির্দেশনা মানছেন না ক্রেতারা। ঈদের কেনাকাটা করতে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা ভিড় করছেন রাজশাহীর সাহেববাজার আরডিএ মার্কেট, কাপড়পট্টি ও নিউমার্কেটের দোকানগুলোতে।
আরডিএ মার্কেট ও কাপড়পট্টির সরু গলিতের হাজারো মানুষের ভিড়ে করোনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সারাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেও রাজশাহী শহর রয়েছে এখনো করোনামুক্ত।
এই অবস্থায় সরকার মার্কেট খোলার অনুমতি দিলেও রাজশাহীর প্রশাসন ঈদের আগে মার্কেট খোলার অনুমতি দেয়নি শুরুতে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অব্যাহত চাপের কারণে শেষ পর্যন্ত গত বুধবার থেকে মার্কেট খুলতে শুরু করে। আর সেইদিন থেকেই রাজশাহীর দুটি মার্কেটে বেড়েছে উপচেপড়া ভিড়।
আরডিএ মার্কেট ও কাপড়পট্টিতে যেন তিল ধারণের জায়গ্ াথাকছে না কখনো কখনো। শিশু থেকে শুরু করে সব ধরনের বয়সের ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। ক্রেতারা সাধারণত ঈদের পোশাক কিনতেই বেশি ভিড় করছেন। কেউ কসমেটিক্স ও জুতা স্যান্ডেল কিনতেও ভিড় করছেন। আগত এসব ক্রেতাদের অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্তও দেখা যাচ্ছে না। এর বাইরে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার যেন কোনো বালাই নাই। অধিকাংশ দোকানগুলোতে হ্যান্ডস্যানিটাইজারেরও কোনো ব্যবস্থা নাই।
শারমিন আক্তার বলেন, ‘কিছু কাপড় কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু ভিড়ের কারণে বাজারে ঢুকাই মুশকিল। তারপরেও কৌশলে কয়েকটি দোকান ঘুরে কেনাকাটা করেছি। তবে মানুষ যেভাবে মার্কেটে আসছে তাতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক রয়েছে। আবার অনেক দোকনেই হ্যান্ডস্যানিটাইজারেরও কোনো ব্যবস্থা নাই।’
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের সময় বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। তারা বাড়িতেও জেদ করছিলো। তাই তাদের সঙ্গে করেই আনা হয়েছে।’
আসগর আলী বলেন, ‘ঈদের বাজার ধরতে না পারলে আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে যেত। এমনকি সংসার চালানোও কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এই অবস্থায় দোকান না খুলে উপায় ছিল না। তবে যেহেতু শেষদিকে চলে এসেছে রোজার, তাই ভিড়ও বাড়ছে। এখানে আমাদের কিচু করার নাই। আমরা চেষ্টা করছি নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার।’
বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘ক্রেতাদের যে ভিড় তাতে পুলিশের পক্ষে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। পুলিশ এখন চেষ্টা করছে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখার। কারণ রাস্তায়ও মানুষের কারণে যানজট রেগে যাচ্ছে।’
রাজশাহী বার্তা/admin