বগুড়ায় নতুন করে আরও ২৫ জনের করোনা শনাক্ত
বগুড়ায় আরও ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শহরের চেলোপাড়ার চাষী বাজারের মাছের দোকানের ১১ জন কর্মচারি রয়েছেন। এ নিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৬৮ জন আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সাবেক এমপি কামরুন্নাহার পুতুল মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে তার পরিবারের তিন সদস্যও রয়েছেন।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন শনিবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, শনিবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
রাত ৯টায় ল্যাব থেকে দেয়া রিপোর্টে বগুড়ার ১৬৩ জনের মধ্যে ২৫ জন পজিটিভ, জয়পুরহাটের ২৪ জনের মধ্যে চারজন পজিটিভ ও সিরাজগঞ্জের একজন নেগেটিভ। বগুড়ায় আক্রান্তদের মধ্যে সদরের ১২ জন, শাজাহানপুরের পাঁচজন, শেরপুরের তিনজন, গাবতলীর দু’জন এবং কাহালু, দুপচাঁচিয়া ও সোনাতলার একজন করে।
সদরে আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনই চেলোপাড়ার। স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত এরা সবাই চাষী ও বাজারে মাছের দোকানের কর্মচারি। অপরজন শহরের জহুরুলনগরের। তিনি মার্কেট থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। শাজাহানপুরের আক্রান্তদের মধ্যে আছেন ঢাকা ফেরত মাঝিরার এক দম্পতি এবং অপরজন শাকপালার এক ব্যক্তি।
শেরপুরের আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা ফেরত শাহপাড়ার এক দম্পতি ও অপরজন ঢাকার পুলিশ কনস্টেবল। গাবতলীর দুজন ফোন বন্ধ রাখায় তাদের তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা ফেরত দুপচাঁচিয়ার তালোড়ার এক নারী। স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত সোনাতলা সদরের একজন ও কাহালুর নরহট্ট গ্রামের একজন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, ২৯ মার্চ থেকে ২৩ মে রাত ৯টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৬৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আক্রান্তদের মধ্যে সাবেক মহিলা এমপি কামরুন্নাহার পুতুল মারা গেছেন। তার পরিবারের তিন সদস্য পজিটিভ। তাদের বাড়িসহ আশপাশের আট বাড়ি লডডাউন ও পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।
আক্রান্ত অন্যদেরবাড়ি ও আশপাশের বাড়ি লকডাউন হয়েছে। আইসোলেশন ইউনিট থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ জন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিট ও নিজ নিজ বাড়িতে ১৫১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাজশাহী বার্তা/admin