চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাজার নিয়ে হতাশা

সময়: 9:19 pm - May 29, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 650 বার

বৃষ্টি না হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে গাছ পাকা আম আসতে শুরু করবে। পাকা আমের মিষ্টি সুগন্ধে ভরে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে আম বাজারগুলো। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে বেচাকেনা জমবে কিনা তা নিয়ে ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আম সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় আমবাগানের পরিমাণ ৩৩ হাজার ৩৫ হেক্টর। গত বছর ছিল ৩১ হাজার ৮২০ হেক্টর এবং গাছের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩০টি। বর্তমানে জেলার আম বাগানগুলোতে গোপালভোগ ও ক্ষিরসাপাতসহ বিভিন্ন গুটিজাতের আম বড় হয়ে পরিপক্কতা পেয়েছে।

আশা করা হচ্ছে এর এক সপ্তাহের মধ্যে মধু মাস জ্যৈষ্ঠে বাজারে উঠতে শুরু করবে পাকা আম। ইতোমধ্যে জেলার সদরঘাট ও তহাবাজার, ভোলাহাট, শিবগঞ্জ ও কানসাট আমবাজার এবং রহনপুর বাজারের মোকামগুলো প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। এ অঞ্চলের মানুষ প্রধান অর্থকরী ফসল আমকে ঘিরেই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু এবার করোনা আর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে এ অঞ্চলের মানুষের মুখে যেন হাসি মলিন হয়ে গেছে।

আমবাগান মালিক হারুনুর রশিদ জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই কয়েকবার আমবাগানের হাতবদল হয়ে থাকে। কিন্তু এবার করোনার প্রভাবে বাগানের ক্রেতা একেবারে নেই। আমগাছে পর্যাপ্ত গুটি আসার পাশাপাশি আমের ফলন ভাল হয়েছিল। এরই মাঝে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে ব্যাপক আম পড়েছে। তারপরও যে পরিমাণ আম রয়েছে তা বিক্রি ভালো হলে আমচাষি, বাগান মালিক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার সঞ্চার জোগাবে।

এদিকে জেলা শহরের আম ব্যবসায়ী সুকুমার প্রামানিক, আব্দুর রাকিব ও কাইউম বিশ্বাস জানান, চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত আমের ফলন হলেও বাজার নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন তারা। কারণ মৌসুমজুড়ে লেনদেন হয়ে থাকে কয়েক হাজার কোটি টাকার। কিন্তু করোনার কারণে আমেরবাজার নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা থেকে আমের ব্যাপারীরা এসে থাকে। এবার তারা আসবে কিনা তা নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই। এছাড়া পরিবহন ব্যবস্থা ও আম সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারলে পুঁজি হারানোর ভয় তাদের তাড়া করছে।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর