বগুড়ায় বিপ্লব হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৫

সময়: 12:30 am - June 23, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 87 বার

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর বিপ্লব (২৮) হত্যার দুই বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকা পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (২২ জুন) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই বিপ্লবকে হত্যা করা হয়। বিপ্লব বগুড়া সদর উপজেলার ঠনঠনিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার হযরত আলীর ছেলে।

আটক পাঁচজন হলেন- সদর উপজেলার ঠনঠনিয়া এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে রাজিব হোসেন রাজু (২৮), খান্দার এলাকার রমজান আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), হাসান আলী (২৮), আব্দুর সামাদের ছেলে আব্দুর রহমান শুটকু (২৮) এবং সোনাতলা উপজেলার মৃত রামনাত মন্ডলের ছেলে শ্রী সঞ্জয় কুমার মন্ডল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোনাতলা উপজেলার নগরপাড়া মহিশাপাড়া গ্রামে গনিজান কালভাটের নিচে পড়ে থাকা বস্তাবন্দি ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বিপ্লবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পরবর্তীতে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার নির্দেশক্রমে মামলাটির তদন্তভার সোনাতলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদ হোসেন নেন। পরবর্তীতে বিপ্লবের সঙ্গে সম্পর্কিত সবাইকে নজরদারিতে রেখে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রধান হত্যাকারী মো. রাজিব হোসেন রাজু (২৮) দুই বছর ধরে যশোরে পালিয়ে ছিলেন। সেখানে রাজিব তার মামার বাসায় দুই বছর অবস্থান করেন। এরপর সে বিয়ে করে ছয় মাস ধরে অন্য একটি ভাড়া বাসায় গোপনে অবস্থান করছিলেন। তার অবস্থান নিশ্চিত করে বগুড়া শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা শুভর নেতৃত্বে সোনাতলা থানা পুলিশ যশোর থেকে রাজিবকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যার সঙ্গে জড়িত বেলাল, হাসান, আব্দুর রহমান শুটকু ও সঞ্জয়কে বগুড়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, তারা বিপ্লবকে বগুড়া থেকে একটি ভাড়া করা প্রাইভেটকারে সোনাতলা উপজেলার করপুর বাজারে একটি চাতালে নিয়ে ছুরিকাহত করে হত্যা করেন। এর পর মরদেহ বস্তায় ভরে নগরপাড়া মহিশাপাড়া গ্রামে গনিজান কালভাটের নিচে ফেলে চলে যায়।

পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বাংলানিউজকে জানান, ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারিতে সোনাতলা উপজেলার নগরপাড়া মহিষাপাড়া গ্রামে বস্তাবন্দি একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পত্রিকায় মরদেহের ছবি ও বর্ণনা দেখে নিহতের স্বজনরা পরিচয় নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও জানান, মূল হত্যাকারী রাজিব হোসেন রাজুকে গ্রেফতারের পর বেড়িয়ে আসে হত্যার সব রহস্য।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর