বগুড়ার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত

সময়: 9:17 pm - June 26, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 100 বার

বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, বগুড়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের এ দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার শরীরের অবস্থা ভালো আছে। তারা গত ২৪ জুন নমুনা দিয়েছিলেন। সিভিল সার্জনের পরিবার ঢাকায় থাকায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। আর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বগুড়া শাখার সভাপতি ডা. মিশু নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, গত ১ এপ্রিল এ জেলায় প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসক, নার্স, পুলিশসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে থাকেন। সম্প্রতি ১৮ জন সাংবাদিক ও কয়েকজন সংবাদপত্র অফিসের কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পাঁচ কর্মকর্তা আক্রান্ত।

বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু আক্রান্ত হন। এর আগে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল করোনা আক্রান্ত হন। পরবর্তীকালে তিনি নেগেটিভ হয়েছেন।

সূত্রটি আরও জানায়, বগুড়া করোনা আক্রান্ত শুরু হলে নমুনা সংগ্রহ করে প্রথমে ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে ও পরবর্তীকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে থেকে ফলাফল আসতে বিলম্ব হওয়ায় সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

গত ২০ মে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হয়। সর্বশেষ ৩১ মে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়।

শজিমেক ল্যাবে ১০ টাকা ও টিএমএসএস ল্যাবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রতিদিন দুটি ল্যাবে ১৮৮ জন করে ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। অথচ প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জনের নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। ফলে নমুনা জট থাকছে। এতে চিকিৎসক ও জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ল্যাবে নমুনা জট প্রসঙ্গে শজিমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, মেশিন ও লোকবল সংকটের কারণে এ সমস্যা হচ্ছে।

তবে অন্য চিকিৎসকরা এতে দ্বিমত পোষণ করছেন। কেউ কেউ বলছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টিএমএসএসকে সুবিধা দিতে শজিমেকে পিসিআর ল্যাবে মেশিন ও লোকবল বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, বৃহস্পতিবার ৪৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৬ হাজার ৪৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পিসিআর ল্যাব থেকে ফলাফল পাওয়া গেছে, ১৪ হাজার ৩১৯ জনের। নমুনা জটে পড়েছে, ২ হাজার ১৬১ জনের। নতুন ৩৪ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন, ৩১৭ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে, ৪৩ জনের। বর্তমানে আইসোলেশন, হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, ২ হাজার ২৪২ জন।

সূত্র : যুগান্তর

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর