ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ত সময় পার করছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কামারেরা
আগামিকাল মুসলিম উম্মাহর বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদণ্ডউল-আযহা। করোনার কারণে পশু বেচাকেনা কম হলেও কামারেরা বেশ ব্যাস্ত সময় পার করছেন। সারা বছর খুব একটা কাজের চাপ না থাকলেও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কামারদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুন।
ঈদ-উল-ফিতরে কেনাকাটা ও মিষ্টি সেমাই নিয়ে যেমন তোড়জোড় থাকে তেমনি কোরবানি ঈদে থাকে পশু ক্রয় ও দা-ছুরি কেনাকাটার ঝোঁক। তাই বাড়তি দা-ছুরির চাহিদা মেটাতে ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারপাড়ায়।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন কামারপাড়ায় ঘুরে দেখা যায় কামারীদের ব্যস্ততা। তাদের দম ফেলার সময় নেই। রাত-দিন টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারপাড়া। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাট কামারপাড়া, বারোঘরিয়া লক্ষীপুর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আজাইপুরের অশোক কর্মকারসহ সদর উপজেলার কয়েকজন কামারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বেশ খুশি। কারণ সারা বছর তারা এই দিবসের অপেক্ষায় থাকেন। কারণ এই ঈদেই তাদের মূলত আয় হয়। সারা বছর তেমন কাজের চাপ থাকে না। তাদের কাছেও এটা অন্যরকম এক উৎসব।
দা-ছুরির দাম কেমন জানতে চাইলে দা-ছুরি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘প্রতি পিস চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, চামড়া তোলার ছু্রি ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, জবাই করার ছুরি ৩০০ থেকে ১২০০ টাকা, চাইনিজ কুড়াল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছুরি ধার করার স্টিল প্রতি পিস ৫০ টাকা, দা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।
নবাবগঞ্জ পৌরসভার সামনে দা-ছুরির মৌসুমি বাজারের, দা-ছুরি বিক্রেতা মো. জুয়েল জানান, ‘কোরবানি ঈদ এলেই ব্যস্ততা বেশি থাকে। তবে এখনও ঈদের বাকি আরও কয়েকদিন। তাই ক্রেতার চাপ একটু কম। সবাই গরু কেনাকাটায় ব্যস্ত। এরপর দা-ছুরিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ভীড় বাড়বে। তবে ভীড় এড়াতে কেউ কেউ এখনই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
‘গতবারের তুলনায় দাম বেশি না কম জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়লা, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এজন্য গতবারের তুলনায় এবার একটু দাম বেশি। তিনি আরও বলেন, ‘ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছুরি ও চাপাতি মূলত মৌসুমি কসাইরাই বেশি কিনে থাকেন। অনেকে শখের বশে কেনেন। কারণ রাজধানীর কোরবানির পশুর কাটাকাটি মূলত কসাইরাই করে থাকে। তবে যিনি কোরবানী দেন তিনিও তাদের সহায়তা করেন।