পুলিশের গুলিতে নিহত তরিকুল ওরফে সাদ্দাম সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা গ্রামের নোমানের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) ফজল-ই-খুদা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আলাতুলী ইউনিয়নের বকচর সীমান্ত থেকে তাকে পুলিশ আটক করে।
পরে তাকে নিয়ে আসার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের হরিশপুরে তরিকুল ওরফে সাদ্দামের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায় বলে তার ভাষ্য।
রাত ৯টার দিকে বুকে গুলিবিদ্ধ তরিকুল ওরফে সাদ্দামকে আধুনিক সদর হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।
নিখোঁজের একদিন পর মোসলেমা খাতুন রিমা নামের সাত বছর বয়সী এক শিশুর লাশ মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করে পুলিশ। সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গার এক বাঁশবাগানে তার মরদেহ পড়েছিল। পুলিশের ধারণা রিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের মানিক হাজিরটোলা গ্রামের মো. রুহুল আমিনের মেয়ে রিমা। সোমবার বিকালে বাড়ি থেকে খেলতে বের হয় রিমা। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেও সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার স্বজনরা। মাইকেও প্রচার করা হয় তার নিখোঁজের কথা।
তারপরও সন্ধান না পেয়ে রাতে রিমার বাবা সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন।
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা এক বাঁশ বাগানে রিমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার ও সব আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এরপর বুধবার নিহত রিমার বাবার রুহুল আমিন বাদী হয়ে তরিকুলসহ পাঁচ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলা করার পর পলাতক তরিকুলের বাড়ি থেকে নিহত মৃত্যুর আগে রিমার পরনে থাকা প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।