রাজশাহীর চারঘাটে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে ফেসবুকে ছবি আপলোড

সময়: 8:12 am - April 3, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 94 বার

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মেরামাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরের বিরুদ্ধে পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগ আনা হয়। এরপর তাকে নির্যাতন করা হয়। জহিরুল ইসলাম নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। ওই কিশোরকে নির্যাতনের ছবি তুলে জহিরুল ইন্টারনেটে সামাজিক মাধ্যমেও ছেড়েছেন।

নির্যাতনের শিকার কিশোর উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা চারঘাট পৌরসভার মেরামাতপুর মহল্লার বাসিন্দা। স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ওই কিশোর মেরামাতপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। কিছু সময় পর জহিরুল পুকুর পাড়ে আসেন। এ সময় পুকুরের গোসল করা কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় ওই কিশোরের কান ধরে তাকে পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন জহিরুল।

এরপর একটি গাছের সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখেন। তাকে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে জহিরুল ইসলাম ওই কিশোরকে গাছে বেঁধে রাখার দৃশ্য ফেসবুকে শেয়ার করেন।

জহিরুল ইসলাম বলেন, মাঝে মাঝেই আমার পুকুর থেকে মাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। দুপুরে ওই ছেলেসহ আরও কয়েকজন মাছ চুরি করছিল। তখন ছেলেটিকে হাতেনাতে ধরতে পেরেছি। পরবর্তীতে যেন আরও বড় অপরাধ না করে সে জন্য তাকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। কিশোরের ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, সবাইকে সচেতন করতে ছবি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি আমি একটু আগেই শুনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা চাইলে মামলাও করতে পারবেন।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর