রাজশাহীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজশাহীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রশংসা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিভিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহীর সঙ্গে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি রাজশাহীর প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনিতেই রাজশাহী এখন যথেষ্ট সুন্দর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আছে। ভবিষ্যতে আরো থাকবে, সেটাই চাই।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সঞ্চালনা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার। ভিডিও কনফারেন্সে প্রথমে পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তুলতে গৃহিত নানা পদক্ষেপের কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতটি গ্রামে আমরা নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। আর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার সাথে সাথে মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পারে, সেটাও আমাদের একটা লক্ষ্য। প্রতিটি এলাকা সুন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হোক, সেটাই আমরা চাই।
এরপর প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু একটা মহানগরের দায়িত্বে মেয়র সাহেব, আমরা তার কাছ থেকেই কথা শুনব এবং সাথে সাথে তার অঙ্গীকারটাও নেব যে তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে নিয়ে কি কাজ করবেন।
এ সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত বছর আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করেছি। এ বছরও আমরা বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় আমাদের শহরের সকল বড় ও মাঝারি নর্দমাগুলো পরিস্কার করতে শুরু করেছি। কাজ করা হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসন করতেও। মশক নিধনে ফগার মেশিন ব্যবহার করছি।
এ সময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মেয়র। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে সম্প্রতি তিন হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আপনার যখন যে আদেশ আমি পেয়েছি সেটা মাথায় নিয়েই কাজ করছি। আপনার যে সহযোগিতা পাই সেটার পরিপূর্ণ ব্যবহার করেই আমরা এ অঞ্চলের মানুষকে ভালো রাখার চেষ্টা করছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর প্রতিটি ওয়ার্ড পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্রতিটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যেন আলাদা জায়গা সুনির্দিষ্ট থাকে। প্রতিটি ওয়ার্ড পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বর্জ্যগুলোকে রিসাইকেল করার ব্যবস্থা আমরা করব। সেটা আমাদের প্ল্যান আছে। বিশেষ করে হাসপাতালের বর্জ্যটা বিশেষভাবে নিঃশেষ করার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী প্রান্তে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, মেয়রপতœী ও নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।