চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা প্রতিরোধে কোয়ারেন্টাইনে বিলেত ফেরত
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে
বিলেত ফেরত দুই ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। ওই দুই ব্যক্তি
সম্প্রতি ইতালি এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।
তবে তাদের পরিচয় না জানা গেলেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ওই দুইজন
ব্যাক্তির একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং অন্যজন শিবগঞ্জ
উপজেলার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ
নজরুল চৌধুরী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত ৬
মার্চ শুক্রবার দেশের দি¦তীয় স্থল বন্দর সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে সর্দি
ও জ্বর নিয়ে সদর উপজেলার এক নারী সম্প্রতি চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে
বাংলাদেশে আসেন এবং অপর একজন ইতালি থেকে গত ৮ মার্চ রোববার শিবগঞ্জ
উপজেলায় আসেন। কয়েকদিন আগে আসলেও ইতালি ও ভারত থেকে আসা ওই দুই বাংলাদেশী
নাগরিক দেশে আসার পর বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখার চেষ্টা করেন। পরে
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে তাদের খোঁজ নেয়া হয় এবং বার্তি সতর্কতার
অংশ হিসেবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। তাদের নিয়মিত
মনিটরিং করা হচ্ছে। তাদের শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকায়
বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চারটি বেড আইসোলেশন বেড
হিসেবে এবং পাঁচটি উপজেলার পাঁচটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইটি করে বেড
আইসোলেশন বেড হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে সন্দেহভাজন করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিচার্স ট্রেনিং
ইন্সটিউটের একটি ভবনকে কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলার সোনামসজিদ স্থল বন্দরে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম
হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই
টিম প্রতিদিন ভারত থেকে আসা সকল যাত্রী, ভারতীয় ট্রাক চালক ও তাদের
সহকারীদের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করছে। সেই সাথে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার
রহনপুর শুল্ক স্টেশনে যাত্রী পারাপার না থাকায় ভারত থেকে আসা শুধু ভারতীয়
পণ্যবাহী ট্রেন চালক ও এর সহকারীদের অস্থায়ী একটি মেডিকেল টিম চেকআপ করছে
প্রতিদিন।
তবে করোনা আতঙ্কে জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিক্রি
বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে এর দাম না
বাড়াতে পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর ও জেলা
প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইতোমধ্যেই বেশি দামে মাস্ক ও স্যানেটারী
পণ্য বিক্রির অভিযোগে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়েছে।
রাজশাহী বার্তা/admin