প্রবাসীদের ইকামা ফি মওকুফসহ বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা সৌদির
সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত যেসব কর্মীর ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের ইকামা ফি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের কফিলের মাধ্যমে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে হবে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা মামনুর রশিদ দেশটির সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে সৌদি সরকার আজ প্রায় ৭০ বিলিয়ন রিয়ালের প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। চলমান করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে দেশটির বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হওয়ার কারণে এই প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়।
মামনুর রশিদ আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ক্ষতির হিসাব করে এই লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণ করতে মন্ত্রিপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৮টি মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করবে।
এছাড়াও এই মুহূর্তে বেশকিছু ছাড়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পৌরকর তিন মাসের জন্য মওকুফ করা।
২. আগামী তিন মাসের জন্য আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক মওকুফ করা।
৩. তিন মাসের জন্য ব্যবসায়ীদের আয়কর ও ভ্যাট মওকুফ।
৪. এসএমই খাতে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা।
৫. যেসব কোম্পানির কর্মীদের ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের ইকামার ফি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মওকুফ করা।
৬. বিভিন্ন ফি না দেয়ার কারণে কোম্পানির আইডির সার্ভিস/খেদমাত বন্ধ হয়ে যাওয়া সার্ভিস পুনরায় খুলে দেয়া হবে।
৭. যে সকল কর্মীর এক্সিট রি-এন্ট্রি ভিসা দেয়ার পরও এই করোনার কারণে যেতে পারেননি তাদের জন্য আরও তিন মাসের এক্সিট রি-এন্ট্রি ভিসা প্রদান করা হবে বিনা ফিতে।
৮. নতুন কর্মী আনয়নের জন্য ভিসা উত্তোলন করে থাকলে এবং করোনার কারণে কর্মী না আনতে পারলে প্রদত্ত ভিসা ফি ফেরত নিতে পারবে।
৯. ভিসা স্টাম্প হয়ে থাকার পরও কর্মী আসতে না পারলে তাদের পুনরায় বিনা ফিতে ভিসা স্টাম্পিং করার সুযোগ দেয়া হবে।