করোনা ভাইরাস : জনশূণ্য রাজশাহী নগরী

সময়: 2:42 pm - March 24, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 287 বার

করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে নগরীর খেটে খাওয়া মানুষদের উপর। নগরীর স্কুল, কলেজ, বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষা নগরী এখন শিক্ষার্থী শূণ্য। এছাড়া মানুষজনের চলাচলের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

করোনা সংক্রমন এড়াতে বাড়ীর বাইরেও কম বের হচ্ছেন নগরবাসী। ফলে অনেক ফাঁকা হয়ে গেছে রাজশাহী নগরী। এতে যাত্রী সংকটে পড়েছে রিক্সা ও অটোরিক্সা চালকরা। অন্যদিকে, চা-স্টলেও মানুষের দেখা মিলছে কম। সাধারণ সময়ে সারাদিন রিক্সা-অটো চালিয়ে যা আয় হতো এখন তার অর্ধেকও হচ্ছে না। ফলে একমাত্র আয়ের উৎসটুকুতেও ভাটা পড়েছে দিন আনে দিন খায় এমন মানুষগুলোর। এই অবস্থায় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছে এসব খেটে-খাওয়া মানুষগুলো।

করোনা ভাইরাসের সংক্রামন এড়াতে সরকার ও সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছে। স্কুল-কলেজ, বিনোদন কেন্দ্র ও দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক কর্মজীবি মানুষরা পাড়ি জমিয়েছে গ্রামের বাড়িতে। মানুষজনের চলাচলের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফলে ফাঁকা হয়ে গেছে নগরী। শিক্ষানগরী রাজশাহী এখন শিক্ষার্থী শূণ্য। সোমবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পুরো রাজশাহী নগরীতে জনগণের চলাচল কমে গেছে। শুধু মাত্র কাঁচা বাজার আর মুদি খানার দোকানগুলোতে কিছুটা চলাচল আছে।

রিক্সা চালক শাহ্ আলম বলেন, আগে সারাদিন রিক্সা চালিয়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা মত আয় হতো। আর এখন সারাদিনে আগের এক বেলার সমান আয় হচ্ছে না। নগরীতে রিক্সা-অটো চালচলও অনেক কমে গেছে তাও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। অটোরিক্সা চালক ফয়জুদ্দিন বলেন, ভাইরাসের জন্য পুরো নগরী ফাঁকা হয়ে গেছে। সাধারণত রাজশাহীতে সবসময় শিক্ষার্থীদের চলাচল থাকে। কিন্তু স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটাও হচ্ছে না। তাই যাত্রী হচ্ছে না। আগের তুলনায় সারাদিন অটো চালিয়ে আয় অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে। দু-একটা যাত্রী নিয়েই অটো চালাতে হচ্ছে। চা-স্টলের মালিক ভুট্টো জানায়, এখন আর আগের মত ব্যবসা হচ্ছে না। আগে সারাদিনে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা আয় হতো। আর কয়েকদিন থেকে সারাদিনে ৫০০ টাকাও হচ্ছে না।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর