বগুড়ার পাড়া-মহল্লায় বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা
বগুড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যা ব, পুলিশ নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগণকে ঘরে থাকতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন।
দোকানপাট বন্ধে নোটিশ ও সারাদিন মাইকিং করা হলেও অনেক এলাকার মানুষ অগ্রাহ্য করছেন। বাধ্য হয়ে শহর, বিভিন্ন উপজেলায় তরুণ সমাজ জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল ঠেকাতে প্রধান রাস্তায় বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। এমনকি একটি বাসায় আত্মীয় আসার খবরে সেখানে গিয়ে মানা করেছেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
বুধবার দুপুরে শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া, কাটনারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পাড়ায় প্রবেশমুখে বাঁশ, বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের সচেতন জনগণও প্রবেশপথে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। সেখানে লকডাউন বা করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে বিভিন্ন নির্দেশনা লিখে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এলাকায় অন্য জেলা থেকে কেউ আসছে কী না সে সম্পর্কেও খোঁজ রাখা হচ্ছে।
বুধবার সকালে বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়ায় একটি বাড়িতে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে এক আত্মীয় আসার কথা ছিল। খবরটি পেয়ে সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া নাসরিন রিক্তার নেতৃত্বে পাড়ার তরুণরা ওই বাড়িতে যান। তারা ওই আত্মীয়কে আসতে বাধা দিয়েছেন।
এছাড়া তারা পাড়ার প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে রাস্তা বন্ধ ও ‘লকডাউন’ লিখে দেন। ফলে অপ্রয়োজনে কেউ পাড়ার ভিতর প্রবেশ ও বের হতে পারছেন না। কোনো যানবাহনও আসতে পারছে না।
ডালিয়া নাসরিন রিক্তা জানান, তার বাড়ির পাশে দুটি দোকান আছে। সেখানে সারাদিন ক্রেতার সমাগম ঘটছে। তিনি সারাদিন বাড়ি থেকে লোকজনকে দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার সুযোগ করে দিচ্ছেন। এ জন্য দোকানের সামনে রং দিয়ে বৃত্ত এঁকে দিয়েছেন।
এছাড়া তিনি নিজ উদ্যোগে ওইসব দোকানে আসা ক্রেতাদের হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থা করেছেন।
রাজশাহী বার্তা/admin