পুঠিয়ায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ: লোকলজ্জায় আত্মহত্যা
পুঠিয়ায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ লোকলজ্জায় আত্মহত্যা ইভা খাতুন (১২) নামের এক কিশোরি। আত্মহত্যার শিকার ইভা খাতুন (১২) পুঠিয়া পৌরসভার রামজীবনপুরওয়ার্ডের ভ্যানচালক সেলিম হোসেনের মেয়ে ও পুঠিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সে তার নিজ শয়ন কক্ষে তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠায়। পরে ইভার বাবা বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় তিন জনকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচণা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
থানা পুলিশ মামলার তালিকাভুক্ত একজনকে আটক করেছে। মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত তিন মাস আগে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এখলাস আলীর সাথে ভ্যান চালক সেলিম হোসেনে বড় মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের মাস খানেক পর দুলাভাইয়ের বাড়িতে শ্যালিকা ইভা বেড়াতে গিয়ে রাত্রি যাপান করে।
সেই সুযোগে লম্পট দুলাভাই এখলাস আলী তার শালিকা ইভাকে ধর্ষণ করে। পরে ইভা বাড়িতে এসে মনমরা হয়ে থাকতো। অনেক জিজ্ঞাসা পর সে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে টানাপোড়ন সুরু হয়। পরে ভ্যান চালাক সেলিম হোসেন তার বড় মেয়েকে শুশুর বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে ধষর্ণে বিষয়টি জানাজানি হলে মৃত ইভা গত বৃহস্পতিবার লোকলজ্জায় আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুঠিয়া থানা পুলিশ আত্মহত্যার খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনে। পরে শুক্রবার সকালে লাশের ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আত্মহত্যার শিকার মেয়েটির বাবা রাতে বাদি হয়ে জামাই এখলাস আলীসহ তিন জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলার তালিকাভুক্ত আসামী এখলাসের মা জরিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের আটকে চেষ্টা চলছে।
রাজশাহী বার্তা/admin