করোনায় লোকসানের মুখে রাজশাহীর পোল্ট্রি শিল্প
পরিবহন সঙ্কটের কারণে রাজশাহীতে পোল্ট্রি খামারগুলোতে উৎপাদিত ডিম ও মুরগি বিক্রি না হওয়ায় কমেছে দাম। এতে লোকসানে খামার মালিকরা। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা না পাওয়া গেলে অধিকাংশ খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবি জেলার পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের।
জেলা প্রশাসক জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে। এক মাস আগেও রাজশাহীতে প্রতিটি লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে সাত টাকায়। করোনার প্রভাবে সেই ডিমের ডাম কমে হয়েছে চার টাকা। এ কারণে বন্ধ হওয়ার উপক্রম এ অঞ্চলের অধিকাংশ পোল্ট্রি খামার।
হ্যাচারিগুলোতে চলছে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের কাজ। কিন্তু পরিবহন সঙ্কটে উৎপাদিত বাচ্চা বিক্রি করতে পারছেন না খামার মালিকরা। একই অবস্থা ডিম ও মুরগির ক্ষেত্রেও। রাজশাহী জেলার পোল্ট্রি খামারগুলোতে প্রতিদিন যে ডিম, বয়লার ও সোনালি মুরগি উৎপাদিত হচ্ছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালতসহ সবকিছু বন্ধ থাকায় বাজারে এসবের চাহিদা অনেক কমে গেছে।
খামারিরা বলেন, ডিম প্রতি দেড় টাকা লস হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা পথে নামব। রাজশাহী শহরে গাড়ি ঢুকছে না। মুরগিও বিক্রি করতে পারছি না। পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের আশঙ্কা, এমন পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা না পেলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সম্ভাবনাময় এ খাতটি।
রাজশাহী পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, সরকার যে প্রণোদনা দিয়েছে তা যেন পোল্ট্রি খাতে দেয়া হয়।
খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক। তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা রাখার জন্য নিশ্চয় আমরা পদক্ষেপ নেব। যারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের বিষয়টি অবশ্যই দেখা হবে।
জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার পোল্ট্রি খামার আছে। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কেজি প্রতি বয়লার মুরগির দাম ১২০ থেকে কমে ৮০ টাকা ও সোনালী মুরগি ১৯০ থেকে কমে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী বার্তা/admin